ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার আলমপুর পূর্ব পাড়ায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী অনিল মাঝিকে খুনের ঘটনায় কৃষ্ণ হাঁসদাকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হল। তদন্তের স্বার্থে তাঁকে ১৪দিনের পুলিশী হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান, তদন্তকারী অফিসার। সিজেএম রতন কুমার গুপ্তা ১০ দিনের পুলিশী হেফাজত মঞ্জুর করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে পার্টি অফিস থেকে মোটরবাইক নিয়ে অনিল মাঝি ফেরার পথে আদিবাসী পাড়ায় দাঁড়ান। সেখানে একদা তৃণমূল কর্মী কৃষ্ণ হাঁসদা আরও ২জনের সঙ্গে বসে মদ খাচ্ছিলেন। অনিল মাঝি দাঁড়ানোয় বাকি দুজন চলে যায়। এরপর অনিল ও কৃষ্ণ দুজনের বসে মদ খায়। এই সময় অনিল কৃষ্ণকে কেন সে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি করছে তা জানতে চায়। তা নিয়ে দুজনের কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতিও হয়। এরপরই পাশে পড়ে থাকা একটি বাঁশ নিয়ে কৃষ্ণ অনিলের মাথায় আঘাত করলে অনিল লুটিয়ে পড়ে। মাথা ফেটে ঘিলু বেড়িয়ে যায় তার। কৃষ্ণ এরপর অনিলের দেহটিকে টানতে টানতে নিয়ে যায় পাশের সাই পুকুরে। সেখানে পাঁকে মৃতদেহ পুঁতে দেয় সে। অনিলের মোটরবাইকটিকে অন্য একটি পুকুরে ফেলে দেয় কৃষ্ণ। এরপর রাতে বাড়ি ফিরে কৃষ্ণ।
কিন্তু তার জামায় রক্তের দাগ দেখে সন্দেহ হয় কৃষ্ণের স্ত্রীর। যদিও কৃষ্ণ তাঁর স্ত্রীকে জানায় মদ খেয়ে মারামারির জন্য রক্তপাত হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সিরাজ মোল্লা নামে এক বাসিন্দা কৃষ্ণ এবং অনিলকে কথা বলতে দেখেছিলেন। এমনকি তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও তিনি শুনেছিলেন। রাতে তিনি অনিল বাড়ি ফিরেছে কিনা তা জানতে অনিলের বাড়িও যান। পরের দিন অনিলের মৃতদেহ মেলায় সিরাজ মোল্লাই জানান কৃষ্ণের সঙ্গেই রাতে তিনি দেখেছিলেন অনিলকে। তাঁর কথার সূত্র ধরেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে কৃষ্ণকে। পুলিশের দাবী, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কৃষ্ণ একাই অনিলকে খুনে করেছে বলে স্বীকারও করেছে।