পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ তৃণমূল নেতা দাদার পার্টি অফিসে ঘটেছিল বিস্ফোরণ,আর তার জেরে প্রধান হতে পারল না বোন। রাজ্যের সাথে সাথে জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েতে হচ্ছে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। আর সেরকমই বীরভূমের খয়রাশোল থানা এলাকার বড়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন ছিল শুক্রবার।পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধী শূন্য করে বারো আসনের বারোটাই ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। কিন্তু বোর্ড গঠনের সময় বারো জন মেম্বারের আসার কথা থাকলেও দশ জন মেম্বার আসে, দুজন আসেনি। একজন শেখ আব্বাস, মেম্বার হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে ছিল। অপরজন প্রধান হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে ছিল নাদিরা বিবি।
কিন্তু বোর্ড গঠনের সপ্তাহ খানেক আগেই খয়রাশোলে শেখ কালো নামে এক তৃণমূল নেতার পার্টি অফিসে বিস্ফোরণ হয়। ভেঙে চৌচির হয়ে যায় পার্টি অফিস, পরে ফরেনসিক দল গেলে পার্টি অফিস থেকে উদ্ধার করে বোম তৈরির মসলা সহ বিভিন্ন সামগ্রী। বেপাত্তা হয়ে যায় ওই তৃণমূল নেতা। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে ওই তৃণমূল নেতা ও বেশ কয়েকজনের দলীয় কর্মীর বিরুদ্ধে। আশ্চর্যের বিষয় হলো বেপাত্তা হয়ে যাওয়া তৃণমূল নেতার বোন প্রধান পদের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন।
এরপরই শোরগোল পড়ে যায় পুরো পঞ্চায়েতে। রাতারাতি ডাকা হয় দলীয় বৈঠক, বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয় নাদিয়া বিবিকে প্রধান করা যাবে না। দীর্ঘদিন ধরে ঠিক হয়ে থাকলেও রাতারাতি পরিবর্তন হয়ে যায় সিদ্ধান্ত। অপরদিকে শেখ আব্বাসের বিরুদ্ধেও পুলিশ মামলা রুজু করে ওই বিস্ফোরণ মামলায়। ফলে গ্রেফতারি এরাতে তিনিও বেপাত্তা। মেম্বার পদের জন্য নির্বাচিত হলেও তাকেও দেখা গেলোনা ত্রিসীমানায়। যদিও দলীয় নেতাকর্মীরা এ কথা মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য অসুস্থ থাকার কারণেই আসেনি তারা।
এদিকে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে এদিন কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মোতায়ন করা হয়েছিল সিআরপিএফ জাওয়ান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারাও।