ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, বর্ধমানঃ বুধবার বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধের মাঝে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা বিভাগের বাংলা ষষ্ঠপত্রের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সিদ্ধান্ত বদল করে বুধবার সেই পরীক্ষা গ্রহণ করাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো। ছাত্রছাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, বনধের জন্য গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দূরশিক্ষা বিভাগের বাংলা ষষ্ঠপত্রের পরীক্ষা সহ গ্রাজুয়েশনের ৫টি প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষাও স্থগিত ঘোষণা করেন। পরিবর্তে ওই পরীক্ষা ৯ অক্টোবর হবে বলেও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়। স্বাভাবিকভাবেই ছাত্রছাত্রীরা সেভাবেই প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু আচমকাই সেই সিদ্ধান্ত বদল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানান, যথারীতি পূর্বের সিদ্ধান্ত ও সুচী অনুযায়ীই ওই বিষয়গুলির পরীক্ষা নেওয়া হবে। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের তুঘলকি সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেন ছাত্রছাত্রীরা।
এসএফআইএর জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায় চৌধুরী জানিয়েছেন, এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকার ভঙ্গ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক অদক্ষতা ফুটে উঠেছে। তিনি দাবী করেছেন, যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে পারলেন না তাদের দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।
এব্যাপারে উপাচার্য নিমাই সাহা জানিয়েছেন, এদিন পরীক্ষার্থীদের কোথাও কোনো অসুবিধা হয়নি। সমস্ত ছাত্রছাত্রীই পরীক্ষা দিচ্ছেন। যাঁরা অনুপস্থিত থাকবেন তাঁদের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে সে ব্যাপারে জানান হবে।
এসএফআইএর জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায় চৌধুরী জানিয়েছেন, এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকার ভঙ্গ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক অদক্ষতা ফুটে উঠেছে। তিনি দাবী করেছেন, যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে পারলেন না তাদের দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।
এব্যাপারে উপাচার্য নিমাই সাহা জানিয়েছেন, এদিন পরীক্ষার্থীদের কোথাও কোনো অসুবিধা হয়নি। সমস্ত ছাত্রছাত্রীই পরীক্ষা দিচ্ছেন। যাঁরা অনুপস্থিত থাকবেন তাঁদের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে সে ব্যাপারে জানান হবে।