Headlines
Loading...
বর্ধমানে বিজেপির ডাকা বনধে কোনো প্রভাব পড়ল না,অশান্তি বাঁধানোর দায়ে গ্রেফতার ৪২

বর্ধমানে বিজেপির ডাকা বনধে কোনো প্রভাব পড়ল না,অশান্তি বাঁধানোর দায়ে গ্রেফতার ৪২



ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, বর্ধমানঃ বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধে বুধবার সকাল থেকে বিজেপি সমর্থকরা জায়গায় জায়গায় বনধ করার চেষ্টা করলেও কার্যত গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়েই পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকল অন্যান্য দিনের মতই। তারই মাঝে জোর করে বাস চলাচল বন্ধ করার চেষ্টা, রেল লাইন অবরোধ, রাস্তা অবরোধ, বাজার বন্ধ করার চেষ্টা প্রভৃতির দায়ে গোটা জেলায় প্রায় ৪২জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির বর্ধমান জেলার যুবমোর্চার সভাপতি শ্যামল রায়ও। 

এদিন সকালে ভাতার বাজারে বর্ধমান -কাটোয়া রোড অবরোধ করার সময় ভাতার থানার পুলিশ ৯জনকে গ্রেপ্তার করে। বর্ধমান শহরের বীরহাটায় জোর করে বাস চলাচল বন্ধ করার চেষ্টার অভিযোগে যুবমোর্চার জেলা সভাপতি শ্যামল রায় সহ আরও একজন বিজেপি নেতাকে পুলিশ লাঠিপেটা করে গ্রেপ্তার করে। এদিন পালসিটের কাছে ২নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে বিজেপি সমর্থকরা। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়। শক্তিগড় এবং দেবীপুর ষ্টেশনেও মিনিটখানেকের জন্য রেলপথ অবরোধ করে বিজেপি সমর্থকরা। 

এদিকে বন্ধ উপেক্ষা করে এদিন বর্ধমান শহরে বাজার, দোকানপাট খোলা ছিল। বাস চলেছে স্বাভাবিকভাবেই । যদিও যাত্রী সংখ্যা ছিল খুবই কম। যাত্রী না হওয়ায় বাসস্ট্যান্ড থেকে কিছু বাস ছাড়েনি। স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী জানিয়েছেন, এদিন সকাল থেকেই বিজেপির জেলা অফিস ঘেরাও করে রাখে তৃণমূল সমর্থকরা। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে হাজির হয়। তৃণমূলের কথায় পুলিশ তাদের কয়েকজন সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে। 

পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, বনধ পুরোপুরি ব্যর্থ। মানুষ অন্যান্য দিনের মতই কাজ করেছে। মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে এই বনধকে। অন্যদিকে, জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এদিন হাজিরার সংখ্যা ছিল প্রায় ৯৯.০৫ শতাংশ। পরিবহণ ব্যাবস্থাও স্বাভাবিক ছিল।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});