ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পুরুলিয়াঃ পুরুলিয়া জেলা পরিযদ, পঞ্চায়েত সমিতি, ইউনিসেফ ও রামকৃষ্ণ মিশন লোকশিক্ষা পরিষদ যৌথভাবে পুরুলিয়া জেলায় 'নির্মল পুরলিয়া' অভিযান কর্মসূচি গ্রহন করে প্রচার চালাচ্ছে।নিজের বাড়ী ও গ্রামের পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখতে বাড়িতে শৌচাগার, বাইরে মলত্যাগ বন্ধ করা,আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার আবেদন জানিয়ে তারা জনগণের কাছে প্রচার করছেন।
কিন্তু বাস্তব ছবিটা অন্য রকম। সরকারী উদাসীনতা ও জন সচেতনতার অভাবে আজও জেলায় 'মিশন নির্মল বাংলা’ সফল হয়নি। জেলার গ্রামে-গঞ্জের মাঠে ঘাটে আজও পুরুষ,মহিলা,বাচ্চা ছেলেমেয়েদের ক্ষেতের আল ধরে পায়খানা করতে দেখা যায়। ঘরে ঘরে প্রতিটি পরিবারের জন্য একটি করে শৌচাগার হবার কথা। কিন্তু দেখা গেছে, ঠিকাদারগণ বেছে বেছে কয়েকটি ঘরে শৌচাগার বানিয়েছে ঠিকই কিন্তু তা সরকারী নিয়ম মেনে করা হয়নি।
যেমন মানবাজার ১ ব্লকের পাথমহড়া গ্রামে যে কয়েকটি শৌচাগার নির্মিত হয়েছে সেগুলি গর্ত খুব কম। অভিযোগ, নিম্নমানের বাংলা ভাটার ইট, নিম্নমানের সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে।যেগুলি দু -তিন মাসের মধ্যে মাটির সাথে মিশে যাবে। ব্লক প্রশাসন বা পঞ্চায়েত সমিতি এসব কাজগুলি একবার তদন্ত করে দেখবার প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করেনি।
এবিষয়ে মানবাজার ১ নং ব্লকের বিডিও নিলাদ্রী সরকারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। মানবাজারের পাথরমহড়ার বাসিন্দা নয়ন বাউরি,নারায়ন দেব এবং মায়া সিংদের অভিযোগ, তারা বিপিএল তালিকাভুক্ত। কিন্তু অতীত বা বর্তমান দুই সরকারের আমলেই কিছু পায়নি। শৌচালয়ের জন্য আবেদন করা হলেও তাদের দেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে মাঠে ঘাটে শৌচকর্মের জন্য যেতে হয়।