ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ কঠিন বেদনাদায়ক একটা সারাদিন পেরিয়ে গেল। কেমন আছেন উনি? বহু মানুষের এই একই প্রশ্ন। উত্তরে হাসপাতাল সুত্রের খবর অনুযায়ী যেটা জানা গেছে, চিকিৎসা চলছে। প্রয়োজনীয় প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা সমুহ করানো হয়েছে। অত্যাচারের মাত্রা অতিরিক্ত হওয়ায় এবং বয়সের কারণে শারীরিক ভাবে সুস্থ হতে কিছুটা সময় লাগবে। যদিও বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কত্রিপক্ষ,ডাক্তার, নার্স এবং হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের দায়িত্ব পালন এ ক্ষেত্রে নজির সৃষ্টি করেছে। সর্বক্ষণ তাঁরা নজর রেখে চলেছেন বেদনাকাতর বৃদ্ধার ওপর।
শুক্রবার ভোরে (সম্ভবত) বর্ধমান রেল স্টেশন এলাকায় পৈশাচিক অত্যাচারের পর রক্তাক্ত প্রায় সংজ্ঞাহীন যে সত্তরোর্ধ বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে নতুন করে বাঁচিয়ে তুলতে বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, প্রতিবেদক এখনে তারই কথা বলছেন। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে অনাময়ে বৃদ্ধার ইকোকাডিওগ্রাফি করানো হয়েছে। এছারাও প্রয়োজনীয় সমস্ত চিকিৎসা যথাযথ ভাবে চিকিৎসকরা করে চলেছেন। তাঁদের আশা দ্রুত সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন বৃদ্ধা।
একদিকে যখন বৃদ্ধাকে সুস্থ করে তুলতে চিকিৎসকদের লড়াই অব্যাহত, তখন একইভাবে আপামর বর্ধমানবাসী প্রার্থনা করছেন তাঁর সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনায়। শনিবার বৃদ্ধার খোঁজখবর নিতে, এমনকি প্রয়োজনে সাধ্যমত সাহায্য-সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হাসপাতালে বহু শুভাকাঙ্ক্ষী ব্যাক্তি তথা সংস্থা হাজির হয়েছিল। দুস্থ ও অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মুখে দু মুঠো অন্য তুলে দেওয়ার অঙ্গিকার বদ্ধ সংস্থা ফুডিস ক্লাবের পক্ষ থেকেও এদিন অত্যাচারিত বৃদ্ধার খোঁজখবর নিতে সংস্থার মহিলা দল হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে দেখা করেন। সংস্থার পক্ষ থেকে এদিন অভিযোগ করা হয়, বর্বরোচিত এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কেন প্রশাসন দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করতে পারল না। সংস্থার সদস্যরা জানিয়েছেন, যতদিন না এই মর্মান্তিক, পৈশাচিক ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতি গ্রেফতার হচ্ছে, তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় এর প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবেন। একইসঙ্গে তাঁরা এও জানিয়েছেন, এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং দুষ্কৃতিকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হোক শুভবুদ্ধিসম্পন্ন আপামর মানুষ।