ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের খামখেয়ালীপনায় প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগের খেলা নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা পর শুরু হল। এদিকে খেলা শুরু হলেও, খেলার শেষে ম্যাচ হেরে যাওয়ায় বাবুরবাগ বয়েজ এ্যাসোসিয়েশন -এর উত্তেজিত সমর্থকরা মাঠের ভিতর ঢুকে রেফারিকে মারধর করায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল স্পন্দন ময়দানে।
বৃহস্পতিবার বর্ধমান ডিসট্রিক্ট স্পোর্টস এ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগের ম্যাচে কল্পতরু ক্লাব বনাম বাবুরবাগ বয়েজ এ্যাসোসিয়েশন-এর খেলা ছিল। খেলা শুরু হওয়ার নির্দিষ্ট সময় ছিল বিকেল সারে তিনটায়। কিন্তু এদিনই বামফ্রন্টের ডাকে আইন অমান্য ও জেল ভরো কর্মসূচী ছিল। বর্ধমান কোর্ট কম্পাঊণ্ড এলাকা থেকে প্রায় জেলা পুলিশ প্রায় শতাধিক বামফ্রন্ট সমর্থককে গ্রেফতার করে। আর গ্রেফতারের পর তাদের সরাসরি স্পন্দন ময়দানে নিয়ে চলে আসে পুলিশ। আর এখানেই তৈরি হয় বিপত্তি। বিডিএসএ কত্রিপক্ষ পুলিশকে এই মাঠে খেলা আছে জানালেও প্রথমে তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিতে চায়নি। পরে জেলাশাসকের হস্তক্ষেপে পুলিশ গ্রেফতার করা আন্দোলনকারীদের মাঠ থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়।
ইতিমধ্যে প্রায় ১ ঘণ্টা সময় নষ্ট হয় খেলা শুরু করতে। এদিকে খেলা শুরু হওয়ার পর থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে। প্রথম অর্ধ গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার পর খেলা শেষ হওয়ার মাত্র দু মিনিট আগে কল্পতরু ক্লাবের হয়ে গৌতম রাজবংশী গোল করে দলকে এগিয়ে দেয়। ইতমধ্যে নির্দিষ্ট সময়ে খেলা শেষের বাঁশি বাজিয়ে দেন রেফারি। কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার এই সিদ্ধান্ত মানতে চায়নি বাবুরবাগের কিছু উত্তেজিত সমর্থক। তারা মাঠে ঢুকে রেফারি মানস মণ্ডলকে আক্রমন করে। অভিযোগ, বাবুরবাগ দলের কোচ মুদ্রাজ সেডেন এই সমস্ত সমর্থককে প্ররোচিত করেছেন। মাঠের ঝামেলা সামলাতে গিয়ে অপদস্থ হতে হয়েছে বিডিএসএ-এর অবজারভার শ্যামল মণ্ডল এবং সুবীর বিশ্বাসকে। শেষমেশ কাউন্সিলার সনত বক্সির চেষ্টায় রেফারি সহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের মাঠ থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়।