Headlines
Loading...
সার্কিট টুরিজমের আওতায় কাটোয়াকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা মহকুমা প্রশাসনের

সার্কিট টুরিজমের আওতায় কাটোয়াকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা মহকুমা প্রশাসনের


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,কাটোয়া:
 কাটোয়া মহকুমা সার্কিট টুরিজমের অঙ্গ হিসাবে এবার মহাভারতের বাংলা অনুবাদক কবি কাশীরাম দাসের জন্মস্থানকে ঘিরে পর্যটন ক্ষেত্র ও সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করল প্রশাসন। পাশাপাশি শ্রীবাটী টেরাকোটা মন্দির, জগদানন্দপুর রাধাগোবিন্দ মন্দির ও লাগোয়া এলাকা সংস্কারের ও সৌন্দর্যায়নের সিদ্ধান্ত নিল কাটোয়া মহকুমা প্রশাসন। 

সম্প্রতি কাটোয়া ২নংব্লকে একটি সভায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রশাসনের কর্তাব্যাক্তিরা। এই সভায়  উপস্থিত ছিলেন কাটোয়া মহকুমাশাসক সৌমেন পাল,কাটোয়া ২নংব্লকের বিডিও শিবাশিস সরকার,কাটোয়া ২নংপঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নরেশচন্দ্র মণ্ডল,আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক রণদেব মুখোপাধ্যায়, ডঃ স্বপনকুমার ঠাকুর ও কাশীরাম দাস স্মৃতি রক্ষা কমিটির সদস্যবৃন্দ।বৈঠকে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। 

তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, সিঙ্গি গ্রাম থেকে মেইগাছি গ্রাম পর্যন্ত রাস্তাটির নামকরণ করা হবে কবি কাশীরাম দাসের নামে। একটি তোরণ নির্মাণ করা হবে। জায়গাটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এছাড়াও ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়  রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সিঙ্গি বাসস্ট্যাণ্ডের কাছে যে কাশীরাম দাস পাঠাগারের উদ্বোধন করেছিলেন তার পাশেই একটি সংগ্রহশালা তৈরি করা হবে।কাশীরাম দাসের জন্মভিটা নিয়ে তৈরী করা কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যাপিকা ইন্দ্রাণী চক্রবর্ত্তী একটি তথ্যচিত্র নিয়মিত প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। ডঃ স্বপনকুমার ঠাকুরের লেখা "ইন্দ্রাণীর ইতিকথা" বইটিও সকলের পড়ার জন্য পাঠাগারে থাকবে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সার্কিট টুরিজমের অঙ্গ হিসাবে লাইট এ্যাণ্ড সাউণ্ড ব্যবস্থা, পার্ক তৈরি,মন্দির মুখী রাস্তা পাকা করা,মন্দির নির্মাণের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে প্রর্দশনের ব্যবস্থা করার বিষয়েও প্রশাসনিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});