ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
বিধানসভা নির্বাচনে দলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে ভরাডুবির পরেও এখন পর্যন্ত কোন্দল অব্যাহত থাকায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাম বা বিজেপি’কে নয় তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পাচ্ছে তৃণমূলকেই।
এমনই চিত্র ফুটে উঠেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকে। এখানে দেখা গেছে তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্যরাই খোদ যুব তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় দখল করতে গেছে। দলীয় নেতৃত্বের দাবি, কোন্দল না মিটলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বড় ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা হিলির নেতা কল্যাণ কুণ্ডু বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরছি। পাশাপাশি সমস্ত নেতা-কর্মীদের একসঙ্গে চলার বিষয়ে আমরা বার্তা সব সময় দিয়ে চলেছি। আশা করছি পঞ্চায়েত নির্বাচনে সকলে একসঙ্গে লড়াই করব।
যুব তৃণমূলের হিলি ব্লক সভাপতি সুদীপ মহন্ত বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আমাদের হিলি ব্লকে দলের সমস্ত নেতা-কর্মীরা যদি একসঙ্গে না হয়ে লড়াই করি তাহলে বিধানসভা নির্বাচনের মতো ফের ভরাডুবি হবে। দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঐক্য না থাকার বিষয়টি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে শঙ্কর চক্রবর্তী ও বিপ্লব মিত্র দুই নেতার বিবাদের কারণে শঙ্করবাবুকে হিলি ব্লকে ২২০০ ভোটে পিছিয়ে থাকতে হয়।
তবে এই ভুল শুধরে দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা তো দূরের কথা, বরং একের পর এক দলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসছে। একে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নয়, খোদ তৃণমূল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ময়দানে নামতে চলেছে। এই মুহূর্তে হিলি ব্লকের হিলি, জামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত আরএসপি’র দখলে, পাঞ্জুল সিপিএমের, বিনশিরা ও ধলপাড়া এই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলের রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে রয়েছে।
এদিকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদার অনুগামী যুব সভাপতি সুদীপ মহন্ত ও বিপ্লব অনুগামী কল্যাণবাবুর মধ্যে লাগাতার একের পর এক কোন্দল লেগে থাকার ফলে জেলা নেতৃত্ব এখন বেশ চিন্তিত রয়েছে। হিলি ব্লকের তৃণমূলের কোন্দল বিরোধী দলগুলি কাজে লাগাতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। তবে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দ্রুত দলের কোন্দল না মিটলে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে তৃণমূল শিবির বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।