পল মৈত্র,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ একসময় বামফ্রন্ট পরিচালিত বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির উদাসীনতায় সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা আরণ্যক নামের বিনোদন পার্কটি এখন আয়ের পথ দেখাচ্ছে বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতিকে। এমনটাই দাবি করলেন বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কুমার রায়।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহর সংলগ্ন হোসেনপুর এলাকায় রয়েছে আরণ্যক নামে পার্কটি। ১৮ বছর আগে তৎকালীন বাম পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি পার্কটি গড়ে তোলে। মানুষের বিনোদনের জন্য সাত একর জমির মধ্যে একটি পুকুরকে বাঁধিয়ে বোটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে সাজানো হয় পার্ক। ভিড় হতে শুরু করে। তবে তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। পার্কটি চালু হওয়ার বছর তিনেকের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। কারণ, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব। পরিত্যক্ত পার্কটি ক্রমশ হয়ে ওঠে দুষ্কৃতী ডেরা। চলতে থাকে একাধিক অসামাজিক কাজকর্ম।
এরপর গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ক্ষমতার রদবদল হয় বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতিতে। ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন প্রবীর কুমার রায়। তিনিই পার্কটি সংস্কার করে পুনরায় চালুর পরিকল্পনা নেন। ২০১৫ সালে ২১ ডিসেম্বর পার্ককে নতুনভাবে সাজিয়ে উদ্বোধন করা হয়। মানুষকে টানতে পার্কে মাছ শিকার, চড়ুইভাতি, অনুষ্ঠান প্রাঙ্গন, গেস্ট হাউস ,মঞ্চ, বোটিং, পুকুর বাঁধাই সহ আরও কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এই কাজে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর বরাদ্দ করে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। পরবর্তীতে বিএডিপি ফান্ড থেকে ১ লাখ টাকা পাওয়া যায়।
নতুন রূপে পার্কটি সেজে ওঠার পর আবার সেখানে প্রচুর মানুষ আসতে শুরু করে। ফলে পার্ক থেকে আয়ও হতে শুরু করে এই পঞ্চায়েত সমিতির। সমিতির সভাপতি প্রবীর কুমার রায় জানান, একটা সময় দুষ্কৃতীদের ডেরায় পরিণত হয়েছিল আরণ্যক। অনেক চেষ্টায়, জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়েছে। পার্কটি নতুন করে সেজে ওঠার পর এখন পার্কের প্রবেশ মূল্য, পিকনিক, হলঘর বুকিং, বোটিং মিলিয়ে গত দেড় মাসে সরকারের আয় হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা। তিনি জানান, আগামী দিনে আরও ভালোভাবে আরণ্যককে তিনি সাজিয়ে তুলতে চান।