Headlines
Loading...
এবার নদী বাঁধ রক্ষায় এবং রাস্তা নির্মাণে ব্যবহার হবে পাটের কাপড়।

এবার নদী বাঁধ রক্ষায় এবং রাস্তা নির্মাণে ব্যবহার হবে পাটের কাপড়।


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: এবার নদী ভাঙ্গন রোধে কিংবা রাস্তা তৈরী করতে ব্যবহার করা হবে পাটজাত দ্রব্য। জুট জিওটেক্সটাইলের মাধ্যমে রাজ্যে যেসব এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে সেখানকার বাঁধ মেরামতি কিংবা প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা নির্মাণে ব্যবহার করা হবে পাটের কাপড়।শুক্রবার বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের সভাঘরে ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পে পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার সম্পর্কিত এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এদিন বৈঠকে হাজির ছিলেন ওয়াটার রিসোর্স ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট বিভাগের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি সুব্রত গুপ্ত, পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব, ন্যাশনাল জুট বোর্ডের প্রিন্সিপাল টেকনোলজিস্ট প্রদীপ চৌধুরি,অতিরিক্ত জেলাশাসক জেলা পরিষদ বাসব বন্দোপাধ্যায় প্রমুখ।
সুব্রত গুপ্ত বলেন,মূলত প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা নির্মাণে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্য রাস্তা বা বাঁধ নির্মাণে পাট ব্যবহার করে সুফল মিলেছে । সারা দেশে দেড়শোর বেশি রাস্তা তৈরি করা হয়েছে।পাটের ব্যবহারের ফলে রাস্তা বা বাঁধ নির্মাণ অনেক বেশী শক্তিশালী হবে। পি ডাবলিউ ডির চারটে রাস্তাও তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন,ইতিমধ্যেই এই প্রযুক্তিতে কাজ করা হবে বলে ২০১৭ সালে ১১৭ টি রাস্তার অনুমোদনও মিলেছে। যার মধ্যে প্রায় নব্বই শতাংশ রাস্তার কাজ প্রায় শেষের মুখে। রাজ্যের মধ্যে উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হুগলি, বীরভূম ও বর্ধমান জেলায় কাজ চলছে। ন্যাশনাল জুট বোর্ডের কারিগরী এক্সপার্টরা পূর্ত ও সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের এই প্রযুক্তি শেখাচ্ছেন।
এদিন ন্যাশনাল জুট বোর্ডের প্রিন্সিপাল টেকনোলজিস্ট প্রদীপ চৌধুরি বলেন, বাংলায় যে পরিমাণ পাট উৎপাদন হয় তা দিয়ে সারা রাজ্যে রাস্তা নির্মাণ করা যাবে। এর ফলে পাটের উৎপাদন যেমন বাড়বে, একইসাথে পাটচাষেও আগ্রহ সৃষ্টি হবে পাট চাষীদের। তিনি বলেন,প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা নির্মাণে এই পাটের তৈরি বিশেষ ধরণের কাপড়ের ব্যবহার করা হচ্ছে। গবেষণা করে দেখা গেছে এই প্রযুক্তি খুব উন্নত মানের। এরপর থেকেই রাস্তা বা নদীর বাঁধ নির্মাণে এই জুট জিওটেক্সটাইল প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশের কর্নাটক সহ বেশ কিছু রাজ্য বিশেষ করে পাহাড়িয়া এলাকায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেখা গেছে মাটির ক্ষয়কে রোধ করা সম্ভব হয়েছে।তাই এই রাজ্যেও নদী বা কানেলের পাড় বাঁধানো, রাস্তা নির্মাণ, রেললাইনের পাশে স্লোপিং তৈরি সহ বেশ কিছু কাজে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
                                                                                                          ছবি - সুরজ প্রসাদ 
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});