ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান:শ্রবণশক্তিহীন সাত বছরের অন্বেষার সমস্ত চিকিৎসার আশ্বাস দিলেন সভাধিপতি দেবু টুডু। বুধবার জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে এব্যাপারে আর্থিক অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। এই শিশুটিকে তার সামগ্রিক চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য দেবে জেলা পরিষদ।সভাধিপতি জানান, ধাপে ধাপে অন্বেষার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা হবে।
উল্লেখ্য,জন্মের কিছুদিন পর পর্যন্তও অন্বেষা মণ্ডলের বাবা বাসুদেব মণ্ডল বুঝতে পারেননি তাঁর একমাত্র মেয়েটি বধির। কিন্তু মেয়ে একটু বড় হতেই তিনি বুঝতে পারেন মেয়ে কানে শুনতে পাচ্ছেনা। এরপরই শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ। এদিকে সামান্য ধানের জমি থেকে যেটুকু আয় হয় তা দিয়েই কোনোরকমে সংসার চালাতে হয় বাসুদেব মণ্ডলকে। বাসুদেববাবু জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তিনি তার শেষ সম্বল জমিও বিক্রি করেছেন মেয়ের চিকিৎসার জন্য। ভেলোরে মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে স্ত্রীর গহনাও বিক্রি করে দিয়েছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার মেয়ের চিকিৎসার জন্য প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু তারপরেও যে মেয়ে স্বাভাবিকভাবে শুনতে পাবে এমন কোনো নিশ্চয়তাও নেই। মেয়েকে একটি আপৎকালীন শ্রবণযন্ত্র কিনে দেন বাসুদেববাবু। । তা পেয়ে অন্বেষা কানে শুনতে পায় এবং কথাও বলতে শেখে। কিন্তু সেই যন্ত্রের মেয়াদও শেষ হয়ে আসছে। কিন্তু তার আর আর্থিক সামর্থ্য নেই নতুন করে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি শ্রবণ যন্ত্র কেনার।বুধবার বাসুদেব বাবু আবেদন জানালেন বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডুর কাছে। মেয়ের চিকিৎসার ব্যাপারে আশ্বাস পেয়ে কিছুটা নিশ্চিন্ত এখন অন্বেষা মণ্ডলের বাবা বাসুদেব মণ্ডল।
