Headlines
Loading...
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কড়া নির্দেশে কর্মবিরতি তুললো বর্ধমান হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা।

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কড়া নির্দেশে কর্মবিরতি তুললো বর্ধমান হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা।




ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান:শিশু মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে শুরু হওয়া জুনিয়র ডাক্তার ও রোগী পক্ষের লোকেদের ঝামেলায় যে অচলাবস্থা তৈরী হয়েছিল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে,শুক্রুবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কড়া নির্দেশে তা আবার স্বাভাবিক হলো।গতকাল রোগী পক্ষের লোকজনের হাতে আক্রান্ত হওয়ার পর নিরাপত্তার দাবিতে কর্তব্যরত জুনিয়র ডাক্তাররা সরাসরি কর্মবিরতিতে চলে যান। ফলে আচমকাই ভেঙে পড়ে হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা। হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী ও রোগীর পরিজনেরা রীতিমতো আতংকিত হয়ে পরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দফায় দফায় আলোচনায় বসেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ। হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, সিনিয়র ডাক্তার এবং হাউস স্টাফদের দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেবার চেষ্টা করা হয়।কিন্তু এরই মাঝে চিকিৎসা না পেয়ে আরও তিনটি শিশু মৃত্যুর অভিযোগের ঘটনায় পরিস্থিতি ফের ঘোরালো হয়ে ওঠে। হাসপাতাল ছেড়ে বেরিয়ে যান জুনিয়র ডাক্তাররা। হাসপাতাল সুপারের মৌখিক আশ্বাসেও জুনিয়ররা তাদের দাবি থেকে সরে আসেননি বলে অভিযোগ। এদিকে শুক্রুবার সকাল থেকেও কর্মবিরতি চলতে থাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে মাঠে নামেন হাসপাতাল সুপার ডা. উৎপল দাঁ, ডেপুটি সুপার ডা. অমিতাভ সাহা, বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (স্বাস্থ্য) রত্নেশ্বর রায়, হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য সুশান্ত প্রামাণিক, পুরসভার কাউন্সিলার খোকন দাস, সাহাবুদ্দিন খান প্রমুখরা।


সামগ্রিক বিষয় পর্যালোচনা করে জুনিয়র  ডাক্তারদের দাবি মেনে নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেন সকলেই। কিন্তু এরপরেও জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের জায়গা থেকে সরে না আসায় রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আধিকারিকরা। কার্যত ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় জুনিয়র ডাক্তারদের দেওয়া দাবিপত্র। এমনকি তাদের বাদ দিয়েই পানাগড় সেনা হাসপাতাল থেকে ডাক্তাদের আনিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরই মাঝে বর্ধমান মেডিকেলের খবর পৌঁছে যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তারা সরাসরি হাসপাতাল সুপারকে নির্দেশ দেন, ১০ মিনিটের মধ্যে জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ না দিলে যারা কর্মবিরতির নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের এই কড়া নির্দেশ আসার পরই তা জানিয়ে দেওয়া হয় জুনিয়র ডাক্তারদের। কার্যত বেগতিক দেখেই বিকাল প্রায় সাড়ে ৪টে নাগাদ জনা তিনেক জুনিয়র ডাক্তার সুপারের কাছে লিখিতভাবে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দেবার ইচ্ছা প্রকাশ করে চিঠি দেন। হাসপাতাল সুপার জানিয়েছেন, বিকাল সাড়ে ৪টের পর থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দেওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। তিনি জানান, নিরাপত্তা বাড়াতে সিসিটিভি সহ হাসপাতালে সিভিক পুলিশ ও পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
                                                                                                                        ছবি - সুরজ প্রসাদ 




(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});