২০১৬-র ১ জুন থেকে রাজ্যের মধ্যে প্রথম দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রকাশ্য ধূমপান বা তামাক সেবনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধ করতে লাগাতার প্রচারাভিযান ও যৌথভাবে হানা চালিয়েছিল জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর, পুলিশ ও আবগারি দপ্তর। অভিযোগ, এত কিছুর পরেও জেলাতে বন্ধ হয়নি প্রকাশ্যে ধূমপান বা তামাক সেবন। ধূমপান রুখতে জেলায় পাঁচটি এনজিও কাজ করছিল। কিন্তু, সেগুলি সেভাবে নিজেদের কাজ করে উঠতে পারেনি বলে অভিযোগ। এমনকি ধূমপান বন্ধ করতে সেভাবে নেওয়া হয়নি কোনও ব্যবস্থা। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসে এই বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট বিভাগকে।
তাই এবার আর খাতায় কলমে নয় প্রকাশ্যে ধূমপান বা তামাক সেবন বন্ধ করতে অভিনব উদ্যোগ নিতে চলেছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। আর এই কাজে এবার ব্যবহার করা হবে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের। কী ভাবে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কাজে লাগানো হবে সেই নিয়ে গত দুই দিন আগে জেলা শাসকের কনফারেন্স হলে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। যেখানে পুলিশ ও সিভিক কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা।
এবিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে জানান, প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধ করতে এবার সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ব্যবহার করা হবে। সিভিকরাই স্পট ফাইন করবে ধূমপায়ীদের কাছে। এই নিয়ে অনেক দিন আগেই এনফোর্সমেন্ট টিম গঠন করা হয়েছিল। শেষ এক বছরে ৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছিল। মানুষকে আরও সচেতন করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।