Headlines
Loading...
দুই বর্ধমানে প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই প্রকল্প রূপায়নের উদ্যোগ কৃষি দপ্তরের।

দুই বর্ধমানে প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই প্রকল্প রূপায়নের উদ্যোগ কৃষি দপ্তরের।



ফোকাস বেঙ্গল ডেস্কঃ অবিভক্ত বর্ধমান জেলার বিভিন্ন এলাকায় ড্ৰাইল্যান্ডকে এক ফসলি থেকে দুই কিংবা তিন ফসলি করার উদ্যোগ আগেই নেওয়া হয়েছিল।  ২০১৬-১৭ আর্থিক বর্ষে প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনা অর্থাৎ পিএমকেএসওয়াই প্রকল্পের মাধ্যমে এই উদ্যোগ কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর জন্য গত আর্থিক বছরেই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল ৯৬ লক্ষ টাকা। এবার ২০১৭-১৮ আর্থিক বর্ষে এই প্রকল্পকে আরো সক্রিয় করার উদ্দেশ্যে জেলা কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে এক অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন ব্লকে আয়োজিত কৃষি মেলায় বিশেষ ক্যাম্পের মাধ্যমে সেখানে আগত চাষীদের এ ব্যাপারে সচেতন করার প্রক্রিয়া জারি রয়েছে।

 এ প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা (বিবিপি ) গৌরকুমার সিংহ জানিয়েছেন , জেলার ড্রাইল্যান্ড বা শুকনো  জমিকে এক ফসলি থেকে দুই কিংবা তিন ফসলি করার ব্যাপারে চাষীদের সচেতন করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই বিভিন্ন ব্লকে আয়োজিত কৃষিমেলাগুলোতে  এবারই প্রথম ক্যাম্প করে চাষীদের সচেতন করা হচ্ছে। একাজে সহযোগিতা করছেন সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা। উপস্থিত থাকছেন উদ্যান পালন ,মৎস্য ,প্রাণীকল্যান  এবং কৃষিদপ্তরের বিশেষজ্ঞরাও।জেলার যে সমস্ত জায়গায় সেচের সুবিধা নেই  ,সেখানে কিভাবে বৃষ্টির জল ধরে রেখে শুকনো জমিকে অধিকতর কৃষিযোগ্য করে তোলা যায় , সে ব্যাপারে চাষীদের সচেতন করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় ড্যাম সহ পাতকুয়ো ,ডোবা ,পুকুর ইত্যাদি খননের মাধ্যমে জল ধরে রাখার ব্যাপারেও চাষীদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এই ধরণের প্রকল্প রূপায়নে ২০-৩০ হেক্টর জমি ক্লাস্টার হিসাবে গ্রহণ করে এলাকার চাষীদের মাধ্যমে উক্ত প্রকল্পকে কার্যকর করা হবে। স্থানীয় কৃষকেরাই পরিকল্পনা রূপায়নে প্ল্যান দেবেন। তা বিচার বিবেচনা করে অনুমোদন করা হবে। এক্ষেত্রে মোট খরচের ৫ থেকে ১০শতাংশ দিতে হবে কৃষককে। বাকি অর্থ দেবে কৃষি দপ্তর। এছাড়া এইরকম ড্রাইল্যান্ডে ফোয়ারা-ইরিগেশনের মাধ্যমে  চাষের সুবিধা পেতে সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ৪৫ শতাংশ অর্থ দিতে হবে কৃষকদের। মোট খরচের বাকি ৫৫ শতাংশ অর্থ দেবে কৃষিদপ্তর।

দুই বর্ধমান জেলাতেই এই প্রকল্প কার্যকর করার লক্ষ্যে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনায় অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে ১ কোটি ২২ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে বরাদ্দকৃত অর্থ যথাক্রমে ৩২ লক্ষ ও ৯০ লক্ষ টাকা। এইসব এলাকায় ধান-আলুর পাশাপাশি বিভিন্ন ফুল-ফল ও সবজি চাষের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে চাষীদের। চাষও করতে হবে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতেই। এই ধরনের বিকল্প চাষের মাধ্যমে চাষীরা যাতে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন ,সে ব্যাপারেও তাদের সচেতন করা হচ্ছে।
গৌরকুমার সিংহ জানান,আশা করা যায় এইধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে জেলায় কৃষিযোগ্য জমির পরিমান অনেকটাই বাড়ানো সম্ভব হবে। সার্বিক এই বিষয়গুলি নিয়েই এবার ব্লকে আয়োজিত কৃষিমেলাগুলিতে চাষীদের সচেতন করা হচ্ছে।  মেলা শুরু হয়েছে ৬ ডিসেম্বর ,চলবে আগামী ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। 
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});