সুব্রত চক্রবর্তী,মেমারি:বসত বাড়ির উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎবাহী তার। ফলে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারির উদয়পল্লী পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দারা। বহুবার স্থানীয় বিদ্যুৎ দপ্তরে এই আশঙ্কার কথা জানিয়ে অভিযোগ জানানো হলেও কোনো হেলদোল দেখায়নি দপ্তর বলে স্থানীয় বসবাসকারীরা জানিয়েছেন।
স্থানীয় নেপাল শিকারি জানান,তাঁর বাড়ির ছাদ ছুঁয়ে গেছে বিদ্যুৎ দপ্তরের ১১ হাজার ভোল্টের তার। যখন তখন বিপদের আশঙ্কায় বাড়ির সকলকে তটস্থ থাকতে হয়। ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা নীলিমা রায় জানান,কিছুদিন আগে তার ছিড়ে গোয়ালঘরের উপর পড়ায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে একটি গরু মারা গেছে। এমনকি নীলিকা দেবীর মা ও বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে আহত হয়েছিলেন। স্থানীয় শঙ্কর মন্ডল,বিষ্ণু চক্রবর্তী প্রমূখদের একই অভিযোগ, যে তাঁদের বাড়ির উপর দিয়ে এই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎবাহী তার যাওয়ায় বিপদের আশঙ্কায় চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে পরিবার নিয়ে থাকতে হচ্ছে।
অবিলম্বে এই তার অন্য কোনো দিক দিয়ে সরিয়ে না নিলে যেকোনো দিন বড়োসড়ো দুর্ঘটনার আশংকা থেকে যাচ্ছে।
বিদ্যুৎ দপ্তরের মেমারি ডিভিশনাল ম্যানেজার গৌতম দত্ত বলেন, কিছুদিন আগে বসত বাড়ির উপর দিয়ে হাই টেনশন লাইন যাওয়ার ফলে অসুবিধা নিয়ে কয়েকজন অফিসে আলোচনা করতে এসেছিলেন। আমরা জানিয়েছি, লিখিতভাবে দপ্তরকে এই অসুবিধার কথা এলাকার মানুষকে জানাতে হবে। তারপর অনুসন্ধান করে দেখা হবে ওই তার বর্তমানে যে জায়গা দিয়ে গেছে সেগুলিকে ঘুরিয়ে অন্যকোনো দিক দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ বা পরিস্থিতি বর্তমানে রয়েছে কিনা। একইসঙ্গে ওই বৈদ্যুতিক তার যেহেতু ওই এলাকায় বসতি গড়ে ওঠার আগে থেকেই ছিল,ফলে এখন তা সরাতে গেলে স্থানীয়দেরকেই এই খরচ বহন করতে হবে। গৌতম বাবু এও বলেন, দপ্তরের কর্মীরা খবর পেলে বিদ্যুতের তারের উপর থেকে নিয়মিত গাছপালা কেটে পরিষ্কার রাখেন। .


