Headlines
Loading...
উৎসবের শহর বর্ধমানে শীতকালীন উৎসবে মাততে চলেছে শহরবাসী।

উৎসবের শহর বর্ধমানে শীতকালীন উৎসবে মাততে চলেছে শহরবাসী।

সৌরীশ দে,বর্ধমান: ইংরেজি বছরের শেষ মানেই একসময় ছিল শীতের রোদ গায়ে মেখে পিকনিকের আনন্দে মাতোয়ারা হওয়া। আগাম প্রস্তুতি নিয়ে পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে কয়েকদিনের জন্য বেড়াতে চলে যাওয়া। আসলে শীত মানেই আনন্দ আর উৎসব। দিন যত এগিয়েছে সমাজ ও সমাজের প্রয়োজনে আম আদমিদের আরও উৎসবমুখর করে তুলতে ইদানিং চালু হয়েছে মেলা আর উৎসবের হিড়িক। আগে একটা মেলায় উপচে পড়তো গোটা শহরের ভিড়। হটাৎ দেখা হতো এক প্রান্তের মানুষের সঙ্গে আরেক প্রান্তের পরিচিত মানুষের। এখন সেই সুযোগ কম। এখন মেলা অনেক

বলতে গেলে প্রায় পাড়ায় পাড়ায়। খোদ বর্ধমান সদর শহরেই হাতে গুনলে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে আয়োজিত হবে প্রায় ৮টি মেলা আর উৎসবের। তাই শহরের কোনো প্রান্তের মানুষই আর মেলা বা উৎসবের বাইরে থাকবে  না। যদিও একসময়ে ঘটা করে যে দু একটা মেলা হতো, সেগুলো এখন আর সংগঠিত হয় না। তার পরিবর্তে একই ধরণের মেলার রূপ ও ধরণ পাল্টিয়ে আরেকটু বৃহৎ সংস্করণে সারা বছর আয়োজিত হয়। যেমন শিল্প মেলা,হস্ত শিল্প মেলা, তাঁত বস্ত্র মেলা,সবলা মেলা, মাটি মেলা, ঘুড়ির মেলা,ভারত সংস্কৃতি উৎসব আরো কত কি। 
দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বর্ধমানের প্রাণের উৎসব বর্তমানে নাম পাল্টে বর্ধমান পৌর উৎসব নামে আজও স্বমহিমায় বর্ধমানবাসীর কাছে বিরাজমান। অপরদিকে বর্ধমান শহরের পশ্চিম প্রান্তের কাঞ্চননগর,রথতলা,উদয়পল্লি,আঁজিরবাগান, বিড়িটিকুরি সহ বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন বছর শেষের কাঞ্চন উৎসবের। ভারত খ্যাত শিল্পীদের উপস্থিতিতে ৭দিনের এই উৎসবে সামিল হন বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তের হাজার হাজার মানুষ। এছাড়াও কয়েকবছর ধরে টাউন হলে শুরু হয়েছে মাঘ উৎসব। এরই মধ্যে গত বছরই শহরের দুই প্রান্তে দুটি উৎসব নতুন করে শুরু হয়েছে। একটি ১৮ নং ওয়ার্ডে বাঁকা উৎসব। আরেকটি শহরের ৪নং ওয়ার্ডে পৌষালি। এছাড়াও আছে বই মেলা,শিশুমেলা, লিটিল ম্যাগাজিন মেলা প্রভৃতি।

এখনও শেষ হয়নি। এবছর থেকে শহরের আরেক প্রান্তে শুরু হচ্ছে নতুন আরেকটি উৎসব। নাম বিধান উৎসব। আর পাঁচটা উৎসবের আয়োজকদের মতোই এই নতুন উৎসবের আয়োজনে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু থাকছে নামিদামি শিল্পীদের প্রতিদিন উপস্থিতি। স্বাভাবিকভাবেই বর্ধমান শহরের আম আদমি শীতকালীন মনোরঞ্জন যে পুরোমাত্রায় উপভোগ করবেন তা এক কথায় স্বীকার করে নেওয়া যায়। একদিকে কাঞ্চননগর,অন্যদিকে বাজেপ্রতাপপুর।আবার একদিকে ভাচছালা তো আরেক প্রান্ত বিধানপল্লী। সর্বোপরি উৎসব ময়দান তো আছেই। 
তবে মেলা আর উৎসবের সংখ্যা যত বাড়ছে খেটে খাওয়া কিছু মানুষের অন্নসংস্থানেরও সুযোগ তৈরী হচ্ছে। তাই বলাই যায় আসন্ন শীত মরসুমে মেলা আর উৎসবের জোয়ারে গা ভাসাতে তৈরী হচ্ছে আপামর বর্ধমানবাসি।   






(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});