ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,কালনা:চিকিৎসার গাফিলতিতে এক প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো কালনা হাসপাতাল চত্বরে। অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে রোগীর পরিজনেরা হাসপাতালের সামনে এসটিকেকে রোড অবরোধ করে দেয়। প্রায় আধ ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশ এসে অবরোধকারীদের হটিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। অবরোধের জেরে এদিন সকালে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায়। প্রসূতি মৃত্যু ও সদ্যোজাত শিশুর শরীরে ক্ষত থাকার অভিযোগে মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে কালনা থানায় ও হাসপাতাল সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।পুলিশ এদিন মৃতদেহ বর্ধমানে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
কালনা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই জানিয়েছেন, প্রসূতির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা থানার উত্তর গোয়াড়া শিবাজিনগর এলাকার বাসিন্দা রমা মাঝিকে (৩০) মঙ্গলবার বেলা সারে ১১টা নাগাদ প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে তাঁর পরিবারের লোকজন কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করেন। ভর্তির কিছুক্ষন পর ডাক্তারের পরামর্শ মতো প্রসূতির সিজার করানোর জন্য ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। অপরেশনের পর একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন রমা দেবী। কিন্তু তার পর থেকেই রমা দেবীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।
কালনা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই জানিয়েছেন, প্রসূতির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা থানার উত্তর গোয়াড়া শিবাজিনগর এলাকার বাসিন্দা রমা মাঝিকে (৩০) মঙ্গলবার বেলা সারে ১১টা নাগাদ প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে তাঁর পরিবারের লোকজন কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করেন। ভর্তির কিছুক্ষন পর ডাক্তারের পরামর্শ মতো প্রসূতির সিজার করানোর জন্য ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। অপরেশনের পর একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন রমা দেবী। কিন্তু তার পর থেকেই রমা দেবীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে।
পরিবারের লোকেদের অভিযোগ,রমা দেবীর শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা ডাক্তার ও নার্সদের জানানো সত্ত্বেও তাঁরা কোনো ভ্রূক্ষেপ করেনি। এমনকি সদ্যোজাত শিশু কন্যার শরীরেও কাটা ছেড়ার দাগ দেখতে পান তাঁরা। সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় প্রসূতির স্বাস্থ্যের অবস্থার কথা জানালেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ।এরপর মঙ্গবার সন্ধ্যায় রমা দেবীর মৃত্যু হয়। ক্ষুদ্ধ মৃতার পরিবারের লোকজন এরপর চিকিৎসার গাফিলতির অভিজ্ঞ তুলে বিক্ষোভ দেখায় হাসপাতালে। বুধবার সকলে এই খবর পেয়ে আরও আত্মীয় পরিজন আসে হাসপাতালে। চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে অবরোধ করে দেয় এসটিকেকে রোড।
মৃতার স্বামী সুভাষ মাঝি বলেন, মঙ্গলবার স্ত্রীকে ভরতির পর চিকিৎসকরা সিজার করে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু স্ত্রীকে বেডে দেওয়ার পর থেকেই তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। চিকিৎসক (ওপি পাঠক) ও নার্সদের কাছে বলতে গেলে তাঁরা বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। সন্ধ্যায় স্ত্রীর মৃত্যু হয়। শিশু সন্তানের শরীরেও কাঁটা ছেড়ার দাগ রয়েছে। সুভাষ বাবু বলেন, চিকিৎসার গাফিলতির ফলেই স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে ও শিশুটির শরীরে কাঁটা ছেড়ার দাগ হয়েছে। আমরা চিকিৎসকের শাস্তির দাবি ও সুবিচার চেয়ে হাসপাতাল ও থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।