Headlines
Loading...
৩৩ দিনে মাস। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে তুমুল আলোড়ন।

৩৩ দিনে মাস। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে তুমুল আলোড়ন।



ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান:
 "বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএসসি এবং বি কম পার্ট ওয়ান অনার্সের ফলাফল প্রকাশিত হবে আগামী ৩২ নভেম্বর, ২০১৭ এবং বিএ পার্ট ওয়ান অনার্সের ফলাফল প্রকাশিত হবে ৩৩ নভেম্বর ২০১৭।"


 না, এটা প্রতিবেদকের ছাপার ভুল বা পাঠকের পড়তে কোনো ভুল হচ্ছে না। বরং বাস্তবে খোদ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসমূহের নিয়ামকের স্বাক্ষরিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের একটি নোটিশে এমনি চাঞ্চল্যকর ঘোষণা করা হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার তাই নিয়ে রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে ছাত্র ছাত্রী,অভিবাবক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে। উল্লেখ্য,গত ১৪ নভেম্বর পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক দপ্তর থেকে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও এই বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে জানতে বারবার পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক দপ্তরে ফোন করা হলেও কেউ ফোন তোলেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার দেবকুমার পাঁজা জানান, এব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না, যা বলার পরীক্ষা সমূহের নিয়ামকই বলবেন।
এদিকে এই নোটিস ইতিমধ্যে সোশ্যাল সাইটে চলে আসায় ঘুম ছুটেছে আধিকারিকদের। পাশাপাশি এই পোস্টের বিরোধিতা করে নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক দপ্তরের এক কর্মী জানিয়ে বেনামে এটিকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ক্ষুন্ন করার ঘৃণ্য চক্রান্ত বলে পাল্টা পোস্ট করেছে। যেখানে বলা হয়েছে,বিজ্ঞপ্তির নিচে স্বাক্ষরকারী রামবিলাস মহাপাত্র বর্তমানে ডেপুটি কন্ট্রোলার অফ এক্সামিনেশন পদে আছেন। ড.সুজিতকুমার চৌধুরী বর্তমানে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলার অফ এক্সামিনেশন। তাঁর নিজস্ব একটি লেটার হেড আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তি হলে সেখানে নিয়ম মতো তারিখের সঙ্গে রেফারেন্স নম্বর থাকতো। সুতরাং এটি একটি ষড়যন্ত্র। 
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে,যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো এবং আধিকারিকের সই অসৎ উদ্দেশ্যে কেউ বা কারা ব্যবহার করছেন, তাহলে এখনও পর্যন্ত কেনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহন করা হল না? কেনোই বা সামান্য অভিযোগটুকুও করলেন না সংশিষ্ট আধিকারিক? 
আর এই যাঁতাকলে পরে চরম বিভ্রান্তিতে ছাত্র ছাত্রীরা। 






(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});