ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান:পূর্ব বর্ধমানের গলসী থানার বড়দিঘীর শশঙ্গা গ্রামের ধান ক্ষেত থেকে গলার নলি কাটা এক গৃহবধুর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরী হল। গ্রামবাসী এবং মৃতের পরিবারের প্রাথমিক অনুমান ওই গৃহবধুকে ধর্ষণ করে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। মৃতমহিলার নাম স্বপ্না মুর্মু (২৩)। মৃতের ২ বছরের একটি কন্যা ৬ মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। শুক্রবার রাতে শশঙ্গা গ্রামের রায়দিঘি সংলগ্ন একটি রাইস মিলের কাছে ধান ক্ষেতের পাশে ঘাস চাপা অবস্থায় গৃহবধূর নগ্ন গলাকাটা দেহ উদ্ধার করে গলসী থানার পুলিশ।
মৃত গৃহবধুর মা লক্ষ্মী মাঝি অভিযোগ করেছেন, তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। তার হাত দুটি কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। মাথার চুলও ঘাসের সঙ্গে বেঁধে দেওয়া ছিল।
যদিও শনিবার ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে কি না এ বিষয়ে পুলিশ মুখ খুলতে চায়নি। গলসী থানার পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়। এই ঘটনায় পুলিশ মৃতের স্বামী পেশায় দিনমজুর সোম মূর্মূকে আটক করেছে।
যদিও শনিবার ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে কি না এ বিষয়ে পুলিশ মুখ খুলতে চায়নি। গলসী থানার পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়। এই ঘটনায় পুলিশ মৃতের স্বামী পেশায় দিনমজুর সোম মূর্মূকে আটক করেছে।
লক্ষ্মী মাঝি জানিয়েছেন, স্বপ্না মুর্মু শুক্রবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ মাঠে ঘাস কাটতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলো। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ তার স্বামী সোম মুর্মু বাড়ি ফিরে এসে দেখে স্বপ্না বাড়িতে নেই। এরপরে পরিবারের তরফে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। রাত্রি প্রায় আটটা নাগাদ গ্রামবাসীরাই খোঁজ করতে গিয়ে মাঠের মধ্যে ঘাস চাপা মহিলার অর্ধ নগ্ন মৃতদেহ দেখতে পান। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, যেভাবে তাকে খুন করা হয়েছে তাতে একাধিক ব্যাক্তি এই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ। পুলিশ এই খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

