ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ধমান শহরের শ্যামসায়র পাড়ের রামকৃষ্ণ আশ্রমকে বেলুড় মঠ অধিগ্রহণ করার কাজ শুরু করে দিল। ইতিমধ্যেই বেলুড় মঠের পক্ষ থেকে অধিগ্রহনের প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি বর্ধমানের এই আশ্রমের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখতে দু দফায় বেলুড় মঠ থেকে এক প্রতিনিধি দল আশ্রম ঘুরে গেছেন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরেই বর্ধমানের এই আশ্রমকে বেলুড় মঠ অধিগ্রহণ করতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য,এই আশ্রমের পাশেই আছে ইশানেশ্বর মন্দির। আর এই মন্দিরেই এক সময় এসেছিলেন স্বয়ং ঠাকুর রামকৃষ্ণ। ঠাকুরের স্মৃতি ধন্য এই আশ্রম কে তাই বেলুড় মঠ তাদের তত্ত্বাবধানে নিতে চাইছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে এই আশ্রমটি বেলুড় মঠের ভাবধারায় ট্রাস্ট কমিটি দ্বারা পরিচালিত।
আশ্রম সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বেলুড় মঠের এ্যাসিস্ট্যাণ্ট সেক্রেটারী এবং মহারাজ আসেন এই আশ্রমে। আলোচনাও করেন ট্রাস্ট কমিটির সঙ্গে। দ্বিতীয় দফায় আরও একটি সার্ভেয়ার টিম আসে বেলুড় মঠ থেকে। তাঁরা আশ্রমের জমি,জায়গা, সম্পত্তি, ভবন,আয় ব্যয়ের হিসাব প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে যান। এই রিপোর্ট বেলুড় মঠ কমিটির কাছে জমা পড়ার পর তা চূড়ান্ত হলেই অধিগ্রহনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদিও এব্যাপারে বর্ধমান শ্যামসায়র আশ্রমের মঠাধ্যক্ষ শান্তানন্দ মহারাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি এব্যাপারে কোনো কিছু বলতে চাননি।
অন্যদিকে এই আশ্রমের মধ্যেই আছে সরকারি শ্রীরামকৃষ্ণ সারদাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়।এই স্কুলের সহকারী শিক্ষক গৌরীশংকর ভট্টাচার্য মঙ্গলবার জানান, বেলুড় মঠ থেকে মহারাজরা এসেছিলেন। আশ্রম মারফত তিনিও শুনেছেন আশ্রম অধিগ্রহনের বিষয়টি। তিনিও এও জানিয়েছেন,স্কুল কতৃপক্ষ আশ্রমের সঙ্গে সুব্যবহার করে চললেও,আশ্রম কমিটির কাছ থেকে সেটা তাঁরা পাননা। এমনকি স্কুলের সামনে ছাত্রদের প্রার্থনার জায়গাটিও আশ্রমের পক্ষ থেকে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। তাই বেলুড় মঠ এই আশ্রম অধিগ্রহণ করলে সুবিধাই হবে বলে গৌরী বাবু জানিয়েছেন।