Headlines
Loading...
১৯ নভেম্বর পার করে ৫৫ ঘন্টা অতিক্রান্ত, পৃথিবী আছে পৃথিবীতেই।

১৯ নভেম্বর পার করে ৫৫ ঘন্টা অতিক্রান্ত, পৃথিবী আছে পৃথিবীতেই।



ফোকাস বেঙ্গল ডেস্কঃ ১৯ নভেম্বর ২০১৭,দুপুর ১২টা বেজে ২২মিনিট। বৈজ্ঞানিক ও জোতিষীদের গবেষণা অনুযায়ী এটাই নাকি ছিল পৃথিবী ধ্বংসের দিন এবং সময়। কিন্তু সেই চরম মুহূর্ত অতিক্রম করে প্রায় ৫৫ ঘন্টা পরেও পৃথিবী গ্রহ স্বমহিমায় আজও ব্রম্ভান্ডে বিরাজমান। গোটা বিশ্ব জুড়ে গত কয়েকদিন ধরে রীতিমতো কাউন্টডাউন শুরু হয়েছিল এই গ্রহের শেষ মুহূর্তের অপেক্ষার।যদিও নাসা এই খবরের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই বলেই দাবি করেছিল। বিশ্বের তাবড় প্রিন্ট 

মিডিয়া,ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পৃথিবীর সেই ভয়ঙ্কর মুহূর্তের পরিণতির কথা ফলাও করে বলা হচ্ছিলো। বলা হচ্ছিলো, কয়েকশ বছর আগে ধ্বংস হয়ে যাওয়া এক গ্রহের টুকরো দ্রুতগতিতে ধেয়ে আসছে। সেই নষ্ট গ্রহের সব চেয়ে বড়ো টুকরোর টার্গেট নাকি পৃথিবী। আর এই টুকরোর সঙ্গে সংঘর্ষ হলে এই গ্রহের মৃত্যু নাকি অবধারিত। ফ্রান্স,ইতালি,আলাস্কা,রাশিয়ায় হবে প্রথম ঝটকা। ধ্বংস হবে আমেরিকা,ইন্দোনেশিয়া,জাপান। মৃত্যু হবে কোটি কোটি মানুষের। বলা হয়েছিল, ১শতাব্দী ধরে উঠে আসছে এই কালো তারার নাম।


জ্যোতির্বিদদের দাবি ছিল,নাসা এই বিপদ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। কিন্তু তারা লুকিয়ে যাচ্ছে। তাদের আরও দাবি ছিল এই মহাপ্রলয়ের হুঁশিয়ারি একশো শতাংশ খাঁটি। তাদের যুক্তি ছিল,যদি প্ল্যানেট এক্স এর টুকরো পৃথিবীকে ধাক্কা দেয় তাহলে পৃথিবীর টেট্রোনিক প্লেট সক্রিয় হয়ে উঠবে। ফলে সৃষ্টি হবে মারাত্মক ভূমিকম্প। জেগে উঠবে পৃথিবীর ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি। উত্তাপে গলতে শুরু করবে হিমবাহ। উঠবে তুফান। মোট কথা যাকে বলে মহা প্রলয়। আর ১৯ নভেম্বরই সেই দিন,যখন পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়বে প্ল্যানেট এক্স।
কিন্তু না। পৃথিবী আজও নিজের কক্ষপথে স্বাভাবিক নিময়েই ঘূর্ণায়মান। 
যদিও নাসা অনেক আগেই জ্যোতির্বিদদের দাবি নস্যাৎ করে ঘোষণা করেছিল,কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পৃথিবী ধ্বংসের এমন তথ্য মেলেনি। 
কেউ কেউ বলেছে ,বিশ্ব জুড়ে যুদ্ধের আবহে এটা ছিল এক নতুন ষড়যন্ত্র। 
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});