
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বাঁকুড়া: রেশনের প্রাপ্য সামগ্রী ঠিকমতো পাচ্ছেন না, ডিলারও দুর্ব্যবহার করছেন। এই অভিযোগ তুলে বাঁকুড়া সদর থানার বনকাটি গ্রামে শনিবার বিক্ষোভে ফেটে পড়ে চার পাঁচটি গ্রামের গ্রাহকেরা। অভিযোগ,প্রতি সপ্তাহের রেশন সামগ্রী তো পাওয়াই যাচ্ছেনা, এমনকি এক সপ্তাহ রেশন সামগ্রী সরবরাহ না করা হলে পরের সপ্তাহে দুবারের সামগ্রী একসঙ্গে দেওয়াও হচ্ছে না।রেশন সামগ্রী পরিমাণেও কম দেওয়া হচ্ছে। এই অনিয়ম ও সঠিক পরিমানে রেশন সরবরাহ না করার প্রতিবাদ করলে গ্রামের রেশন ডিলার গ্রাহকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন।এই খারাপ ব্যবহারের জন্য রেশন কার্ড অন্য ডিলারের কাছে বদলি করতে চাইলেও তা করে দেওয়া হচ্ছে না।
এই সমস্ত অভিযোগ তুলে বাঁকুড়া ২নম্বর ব্লকের জুনবেদিয়া গ্রামপঞ্চয়েতের বনকাটি গ্রামের রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে শনিবার বিক্ষোভ দেখায় বনকাটি ও রাধারমণপুর সহ চার পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দারা।
রাধারমণপুরের বাসিন্দা তপন মন্ডল ও বরেন ঘোষ সহ গ্রামবাসীরা বলেন,গত ৬মাস ধরে এই সমস্যা চরমে উঠেছে।রেশন ডিলার কে বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও সমস্যার সমাধান হয়নি।এমন কি এই বিষয় নিয়ে জুনবেদিয়া গ্রামপঞ্চয়েতে গ্রাহক ও ডিলারকে নিয়ে বসাও হয়েছিল। তা সত্ত্বেও একই জিনিস চলতে থাকায় তারা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে।

অন্যদিকে রেশন ডিলার শান্তিময় মন্ডল বলেন,শনিবার রেশন দোকানে মাল দেওয়া হচ্ছিল। প্রায় ৩০ জনকে রেশন সামগ্রী দেওয়ার পর গ্রামবাসীরা দোকানে ঢুকে হামলা চালায়। তাকে চেয়ার থেকে ফেলে দেওয়া হয়। একজন মহিলাকে জোর করে সরিয়ে রেশন সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়।শান্তিময় বাবুর বক্তব্য, তিনি কোনো গ্রাহকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেননি। তিনি বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের রেশন ডিলার এসোসিয়েশনের সম্পাদক পদে রয়েছেন। তাই তার পক্ষে খারাপ ব্যবহার করা সম্ভব নয়। যে ভাবে রেশন সামগ্রী পাচ্ছেন সেভাবেই সরবরাহ করেন তিনি।তার বক্তব্যে কারোর রেশন কার্ড এক জায়গা থেকে অন্য ডিলারের কাছে বদলি করার কিছু নিয়ম আছে।
এদিনের এই ঘটনার প্রসঙ্গে জেলা খাদ্য নিয়ামক আবির বালি জানান, বনকাটির বিষয়ে তিনি মহকুমা খাদ্য নিয়ামক আধিকারিককে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন।
