ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বাঁকুড়া : এক নাবালিকাকে ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে সোমবার ১০ বছর কারাদন্ডের নির্দেশ দিলেন খাতড়া মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক শুভাশীষ ঘোষ। বিচারক মঙ্গলবার ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় ১০ বছর কারাদন্ড ও ২ হাজার টাকা জরিমানা এবং তা অনাদায়ে আরো দু মাস জেলের সাজা ঘোষনা করেন। এছাড়াও পস্কো আইনের ৪ ধারায় ৭ বছর জেল ও দু হাজার টাকা জরিমানা এবং তা অনাদায়ে আরো দু মাস জেল ও পস্কো আইনের ৬ ধারায় ১০ বছর জেল ও দু হাজার টাকা জরিমানা এবং তা অনাদায়ে আরো দু মাস জেল হাজতের রায় দিয়েছেন বিচারক। এই তিনটি সাজাই একই সঙ্গে বলবৎ হবে বলে বিচারক রায়ে জানিয়েছেন।এই মামলায় সরকারি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অসীমকুমার রায় এবং আসামি তুফান গোপের (২৪) আইনজীবী ছিলেন চঞ্চল রায়, অনিমেষ মন্ডল।
উল্লেখ্য, সোমবার খাতড়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৬ ও পস্কো আইনের ৪ ও ৬ ধারায় অভিযুক্ত যুবক তুফান গোপকে সমস্ত প্রমান ও সাক্ষ্যের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করেন।
খাতড়া মহকুমা আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার হীড়বাঁধ থানার ঝাঁটিপুখুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা তুফান গোপ। অন্যদিকে ওই থানা এলাকারই বাসিন্দা এই নাবালিকা।
তুফান নাবালিকাটিকে ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। এতে নাবালিকাটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। নাবালিকা তার মাকে ঘটনাটি জানায়। পরে নাবালিকার বাবা ঘটনাটি জানতে পেরে চলতি বছরের ২৭ মে তিনি যুবকটির বিরুদ্ধে তার নাবালিকা মেয়েকে ভয় দেখিয়ে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হিড়বাঁধ থানায়।
তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে। সেই সময় থেকে বিচারাধীন বন্দি ছিলেন এই যুবক । মঙ্গলবার আসামি পক্ষের আইনজীবী চঞ্চল রায় বলেন, ' ভিক্টিম শিশু কিনা তা নির্ধারণ সংক্রান্ত যে পদ্ধতি আইনে রয়েছে তার প্রয়োগ মহামান্য আদালতের বিচারে পরিলক্ষিত হয়নি। এই কারণেই আসামি উচ্চ ন্যায়ালয়ের শরণাপন্ন হবে।'