Headlines
Loading...
বিধায়কের কার্য্যালয়ের নিচেই মদের দোকান,প্রতিবাদে বিধায়ক বন্ধ করে দিলেন পরিষেবা।

বিধায়কের কার্য্যালয়ের নিচেই মদের দোকান,প্রতিবাদে বিধায়ক বন্ধ করে দিলেন পরিষেবা।



ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পাঁশকুড়া: খোদ বিধায়কের কার্যালয়ের নিচে মদের দোকান খোলায় কার্যালয় কার্যত বন্ধই করে দিলেন বিধায়ক। আর এর ফলে মুখ থুবড়ে পড়েছে পাঁশকুড়া বিধানসভা এলাকার বিধায়ক পরিষেবা। হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে দূর দূরান্ত থেকে আসা বহু মানুষকে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাশকুড়া বিধানসভার বিধায়ক ফিরোজা বিবি এই ঘটনার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।

এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন,পাশকুড়া পৌরসভার মানুষ এত দিন মদ্যপদের অত্যচারে অতিষ্ঠ হয়ে থাকতো, এবার মাদক কারবারীদের জন্য অতিষ্ঠ খোদ বিধায়ক। বাধ্য হয়ে বন্ধই করে দিলেন কার্য্যালয়। এদিকে মদের দোকানের মালিক সৌমেন জানা জানিয়েছেন, তিনি সব সরকারি আইন মেনে ও বৈধ অনুমতি নিয়েই এই মদ দোকান খুলেছেন।

উল্লেখ্য,২০৫ পাঁশকুড়া বিধানসভার  বিধায়ক ফিরোজা বিবির কার্যালয় রয়েছে পাঁশকুড়া স্টেশন রোডে। কেন্দ্র সরকারের নির্দেশে জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়কের পাশ থেকে মদের দোকান সরিয়ে নিচ্ছেন বেশ কিছু দোকানদার। পাঁশকুড়ার সৌমেন জানার মদের দোকান ছিল ৬ নং জাতীয় সড়কের ধারে। জানা গেছে, সৌমেন বাবু পাঁশকুড়া পৌরসভার আগের বোর্ডের কাছ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে বিধায়ক কার্যালয়ের নিচেই ৮নং ওয়ার্ডে রেল স্টেশনে ঢোকার মুখে বাস রাস্তার ধারে দোকান শুরু করেছেন। কিন্তু এই ঘটনায় রীতিমত প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন খোদ বিধায়ক ফিরোজা বিবি।


তিনি বলেন কিছু অসাধু ব্যক্তি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আছে। যতদিন না ওই দোকানদারের লাইসেন্স বাতিল করা হচ্ছে আর ওই মদ দোকান বন্ধ করা হচ্ছে ততদিন বিধায়ক কার্যালয় বন্ধ রাখা হবে।
আর তার ফলে প্রত্যেক দিন বিধায়ক পরিষেবা না পেয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

 এমনিতেই আনিসুর রহমান চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় পাঁশকুড়া পৌরসভা অচল অবস্থায় পরে রয়েছে। তার উপর পাঁশকুড়া পৌরসভার আগের বোর্ড মদ দোকানদারকে সরকারি আধিকারিকের দেওয়া অনুমতিপত্র নিয়ে  উঠেছে প্রশ্ন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});