ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লকের লালবাঁধ গ্রামের মন্ডল পাড়ায় ১৩ বছরের এক নাবালিকার গলায় ফাঁস লাগানো,নগ্ন মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। রবিবার ভোরে বাড়ির পাশে ধান ক্ষেত থেকেই উদ্ধার হয় নাবালিকার দেহ। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সকাল থেকেই ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা সহ অন্যান আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আবদুল রূপ খান (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মৃতার বাবা মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মৃত নাবালিকার বাবা মইনুদ্দিন মন্ডল ও মা হামিদুল মন্ডল জানিয়েছেন, রবিবার ভোর সাড়ে ৪টা নাগাদ তার ছোট মেয়ে তার ১০ বছরের ছোট ভাইয়ের সঙ্গে পাশের মাঠে প্রাতঃকৃত্য করতে যায়। সেই সময় আবদুল রূপ খান নামে এক প্রতিবেশি যুবক তাকে জোর করে ধান ক্ষেতের দিকে টেনে নিয়ে যায়। ছেলে বাড়িতে এসে এই ঘটনার কথা জানায়। এরই মধ্যে গ্রামবাসীরা মেয়েটিকে ওড়নাতে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ধান ক্ষেতের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন। গ্রামবাসীদের কাছে খবর পেয়ে তিনি ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখেন সম্পূর্ন নগ্ন অবস্থায় তার ছোট মেয়ের মৃতদেহটি পড়ে রয়েছে। নাবালিকার পরিবারের ধারনা মেয়েটিকে টেনে এনে ধর্ষন করে তারই উড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মেরে ধান ক্ষেতে ফেলে দেওয়ার হয়েছে।
উল্লেখ্য, নাবালিকাটি লালবাঁধ হুসেনিয়া হাই মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী ছিল। মৃতার মা বাবার অভিযোগ, প্রতিবেশী যুবক রূপ খান বেশকিছু দিন ধরে তাদেঁর ছোট মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিল। সে তার দিদিকে সে কথা জানিয়েও ছিল। মৃতার দিদির সঙ্গে অভিযুক্ত রূপ খানের এক দাদার বিয়ে হয়েছে। তালডাংরা থানায় এবিষয়ে মৃতার বাবা মা একটি অভিযোগও করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তালডাংরা থানার পুলিশ রূপ খান ও তার বাবাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বর্তমানে গ্রামের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে।