ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,হলদিয়া: সোমবার দুপুরে বাড়ির মধ্যে থেকে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সুতাহাটা থানার চৈতন্যপুর এলাকায়। মৃত ছাত্রীর নাম অরিশা দাস (১৬)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, বাবার বকুনি খেয়ে অভিমানেই আত্মহত্যা করেছে ছাত্রীটি। পুলিশ মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সুতাহাটা থানার কুকড়াহাটি অঞ্চলের রাজারামপুর গ্রামের বাসিন্দা সুদর্শন দাস বেশ কয়েক বছর আগে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। তারপর চৈতন্যপুরের কাছে একটি ভাড়া বাড়িতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন তিনি। তাঁর প্রথম পক্ষের মেয়ে অরিশা সুতাহাটার কৃষ্ণনগর হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।মেয়ের দশম শ্রেণীর টেস্ট পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে দু-এক দিনের মধ্যে বলে জানা গেছে। তাই মেয়েকে গত দু'মাস আগে গ্রামের বাড়ী থেকে চৈতন্যপুরের ভাড়া বাড়িতে দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে এনে রাখেন সুদর্শনবাবু। কিন্তু সোমবার দুপুরে ওই ভাড়া বাড়ির ঘরের মধ্যে থেকে অরিশার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা মেয়েটিকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।
খবর পেয়ে সুতাহাটা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছেন, এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। মেয়েটির ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করা ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, অরিশার বাবা তাঁকে পড়াশোনা নিয়ে গতকাল রাতে ও সকালে বকাঝকা করেছিল। সেই অভিমানেই সম্ভবতঃ মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশের ধারণা। মৃতদেহটিকে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি গোটা বিষয়ে পরিবারের লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে বলে সুতাহাটা থানা সূত্রে জানানো হয়েছে।