ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বাঁকুড়া: চার মাস আগে অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে হটাৎই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলো গৃহবধূ। দীর্ঘ ৪ মাস নিখোঁজ থাকার পর শেষে এলাহাবাদ থেকে উদ্ধার করে বুধবার গৃহবধূকে নিয়ে এলো বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ।
শহরের নবপল্লী মালপাড়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে ঠিক ৪ মাস আগে আশ্চর্য্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যান গৃহবধু পাপিয়া চৌধুরী। তার এই নিখোঁজ হওয়াকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।গৃহবধুর স্বামী স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী শ্যামল চৌধুরী বাঁকুড়া সদর থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন সেই সময়।
শ্যামলবাবুর অভিযোগ ছিল, গত ১৩ জুলাই মালপাড়ায় তাঁদের বাড়ির পাশে একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে বেশ কিছু বহিরাগত মানুষ এসেছিলেন। আর সেই অনুষ্ঠানের পর থেকেই সে তাঁর স্ত্রীকে খুঁজে পাচ্ছেন না। বহু খোঁজাখুঁজি করেও স্ত্রীকে না পেয়ে তিনি থানায় অভিযোগ জানান।
শহরের নবপল্লী মালপাড়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে ঠিক ৪ মাস আগে আশ্চর্য্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যান গৃহবধু পাপিয়া চৌধুরী। তার এই নিখোঁজ হওয়াকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।গৃহবধুর স্বামী স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী শ্যামল চৌধুরী বাঁকুড়া সদর থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন সেই সময়।
শ্যামলবাবুর অভিযোগ ছিল, গত ১৩ জুলাই মালপাড়ায় তাঁদের বাড়ির পাশে একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে বেশ কিছু বহিরাগত মানুষ এসেছিলেন। আর সেই অনুষ্ঠানের পর থেকেই সে তাঁর স্ত্রীকে খুঁজে পাচ্ছেন না। বহু খোঁজাখুঁজি করেও স্ত্রীকে না পেয়ে তিনি থানায় অভিযোগ জানান।
এরপর বাঁকুড়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। পুলিশ জানতে পারে যে কোন এক সোনু কুমারের কাছে আছে পাপিয়া। এও জানতে পারে সোনু এলাহাবাদে আছে। এই তথ্য জানতে পারার পর সদর থানার পুলিশ এলাহাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু আইনি কিছু সমস্যা থাকায় ও সেখানকার পুলিশের সহযোগিতা না পাওয়ায় সেবার খালি হাতে ফিরতে হয় তাদের। এরপর সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে ফের বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ এলাহাবাদ পৌঁছায়। গৃহবধুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযুক্ত সোনু ও তাকে সাহায্য করার জন্য তার বাবা ও মাকেও গ্রেপ্তার করে। এলাহাবাদের আদালতে ধৃতদের সকলকে তোলা হয়। আদালতে ট্রানজিট রিমান্ড নিয়ে পুলিশ বুধবার ধৃতদের বাঁকুড়া নিয়ে আসে।
বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা জনান, এলাহাবাদের নিয়েলি থানা এলাকা থেকে নিখোঁজ গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে সোনু কুমার ও তার বাবা মাকে। ধৃতদের বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া আদালতে তোলা হবে।
অন্যদিকে প্রণবানন্দ পল্লীর বাসিন্দা গৃহবধুটির বাবা লোকনাথ মন্ডল জানান, তার,মেয়েকে ওরা জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখেছিল।
উল্লেখ্য,এই গৃহবধু নিখোঁজকে কেন্দ্র করে এলাকায় সেই সময় জল্পনা তৈরী হয়েছিল যে গৃহবধুর স্বামী হোটেল ব্যবসায়ী হওয়ায় তাকে অপহরন করা হয়েছে। কিন্তু বেশ কিছুদিন কেটে যাওয়ার পরেও মুক্তি পন চেয়ে কোনো ফোন না আসায় অবৈধ সম্পর্কের জেরেই এই নিখোঁজ বলে কানাকানি শুরু হয়।