Headlines
Loading...
নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেই কুমিরের মুখে প্রাণ গেলো ২১ বছরের এক যুবকের। চাঞ্চল্য।

নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেই কুমিরের মুখে প্রাণ গেলো ২১ বছরের এক যুবকের। চাঞ্চল্য।

সুব্রত চক্রবর্তী,পোর্টব্লেয়ার,(ওয়ানডুর): 
কুমিরের মুখে প্রাণ গেলো বছর ২১ বছরের এক যুবকের। রবিবার দুপুর ২টোর সময় ঘটনাটি ঘটেছে আন্দামান ও নিকোবর দীপূঞ্জের পোর্টব্লেয়ার শহর থেকে প্রায় ২০ কিমি দুরে ওয়ানডুর সমুদ্র সৈকতে। এই ঘটনায় পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যেও আলোড়ন তৈরী হয়েছে। তড়িঘড়ি প্রশাসনের তরফে পর্যটকদের নিরাপত্তার সার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওয়ানডুর সমুদ্র সৈকতে সুইমিং ও পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে,মৃত যুবকের নাম বিষ্ণু হরি মন্ডল(২১) ।পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলায় তার বাড়ী। পোর্টব্লেয়ারের ধান্নিখাড়ী এলাকায় একটি ঠিকাদারের অধীনে সে কাজ করত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় ১১ জন বন্ধু মিলে প্রশাসনের নির্দিষ্ট নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেই নেমে তারা স্নান করতে থাকে। কুমির প্রবন এলাকা হওয়ায়  প্রশাসন আগে থেকেই পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট এলাকা জাল দিয়ে ঘিরে রেখেছিল। আচমকা এদিন দুপুরে একটি কুমীর জাল ছিঁড়ে পর্যটকদের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে ঢুকে পড়ে। সেই সময় সমুদ্রে জোয়ার থাকায় জলে না নেমে ওই পর্যটক সমুদ্রের পাড়ে পা ঝুলিয়ে বসে থাকে। হঠাৎ কিছুই বুঝে ওঠার আগেই কুমিরটা যুবকটিকে জলে টেনে নিয়ে যায়।কুমিরটি তাঁর ঘাড়ে আক্রমণ করে,সাথে সাথে দম বন্ধ হয়ে সে মারা যায়। যদিও বাকি ১০জন তাঁদের জীবন বাজি রেখে কুমীরটীর সাথে লড়াই করে যায়, পরে ফরেস্ট আধিকারিকরা চেষ্টা করলেও সকলের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এই ঘটনার পর পর্যটকদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ওয়ানডুর সমুদ্র সৈকতে। ফলে প্রশাসনের তরফে আপাতত পর্যটকদের নিরাপত্তার  স্বার্থে ওয়ানডুর সমুদ্র সৈকতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।

এদিকে প্রশ্ন উঠছে, কি করে এতো নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও পর্যটকদের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে কুমীর ঢুকলো? নিরাপত্তা বেষ্টনীর দাইত্বে থাকা অফিসারই বা কি করছিলেন?
দায়িত্বে থাকা অফিসারের অপসারণের দাবি করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। আন্দামান ও নিকোবরের উপ রাজ্যপাল ডি. কে যোশীকে এই মর্মে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছ বলে জানান আন্দামান ও নিকোবরের  বিজেপির রাজ্য মন্ত্রী তথা ছৌলদারী পঞ্চায়েত প্রধান মোহন হালদার।
তিনি আরও বলেন, কুমিরটি গভীর জলে দেহটি নিয়ে যাওয়ায় দেহটি উদ্ধার করা যায়নি। 
মোহন হালদার জানান, কুমিরের হানায় কেউ নিহত হলে আন্দামান ও নিকোবর দীপূঞ্জের প্রশাসন ও ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে নিহতের পরাবারকে ৩ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা করা হয়। এই বিষয়ে তিনি ডি সি র সাথে কথা বলেছেন। নিহত যুবকটির পরিবারের সাথে গতকাল যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও  কারো সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। অবিলম্বে পরিবারের যেকোনো সদস্যকে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});