Headlines
Loading...
বর্ধমানের ট্রেজারী থেকে ৫৫লক্ষ টাকা লোপাটের এখনো কোনো কিনারা হলো না।

বর্ধমানের ট্রেজারী থেকে ৫৫লক্ষ টাকা লোপাটের এখনো কোনো কিনারা হলো না।

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান:ঘটনার পর প্রায় ৭দিন কেটে গেছে, তবু বর্ধমান ট্রেজারী থেকে লোপাট হয়ে যাওয়া ৫৫ লক্ষ টাকার তদন্তের কোনোরকম অগ্রগতি ঘটল না।আর তাই পুলিশী এই নিষ্ক্রিয়তার ঘটনায় বর্ধমান মুখ্য ডাকঘর কর্তৃপক্ষ রিপোর্ট পাঠালো দিল্লী এবং কলকাতার সদর দপ্তরের পোষ্ট মাষ্টার জেনারেলের কাছে।
উল্লেখ্য,গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুজোর সপ্তমীর দিন বর্ধমানের ট্রেজারীতে প্রায় ১ কোটি ১৯ লক্ষাধিক টাকা জমা রেখে যায় বর্ধমান মুখ্য পোস্ট অফিসের আধিকারিকরা। নবমীর দিন সেই টাকা ট্রেজারীর ভল্ট থেকে বার করতে গিয়ে তাঁরা দেখেন প্রায় ৫৫ লক্ষাধিক টাকা উধাও। এই ঘটনায় মুখ্য ডাকঘরের সিনিয়র পোষ্ট মাষ্টার প্রবাল বাগচি বর্ধমান থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। ঘটনার তদন্তে নামে বর্ধমান থানার পুলিশও।
কিন্তু ঘটনার প্রায় ৭দিন কেটে গেলেও এখনও কেনো হদিশ মেলেনি লোপাট হয়ে যাওয়া টাকার। এরই পাশাপাশি অদ্ভূত ধরণের নিরবতা পালন করছেন খোদ বর্ধমান পোষ্টাল বিভাগের সুপারিনটেনডেণ্ট বেবি লাহিড়ীও। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো কিছু জানানোর অধিকারী নয় বলে এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন এব্যাপারে যা বলার তা পিএমজি-ই বলবেন। যদিও পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, এব্যাপারে তাঁরা দফায় দফায় দিল্লী এবং কলকাতায় রিপোর্ট দিয়েছেন। এই টাকা লোপাটের ঘটনায় পোষ্টাল বিভাগ আলাদা করে কোনো তদন্ত চাইছে কিনা সে ব্যাপারেও কোনোরকম মুখ খোলেননি তিনি। সব বিষয়েই তিনি উত্তর দেবার দায় চাপিয়েছেন পিএমজির ঘাড়েই।
অন্যদিকে খোদ জেলা পুলিশ সুপার কুণাল আগরওয়ালও জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। তিনি নিজেও দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে এখনই সব কিছু বলা সম্ভব নয়।
জানা গেছে, ট্রেজারির সিসিটিভি ফুটেজ পেতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বর্ধমানের সদর উত্তর মহকুমা শাসক পুষ্পেন্দু সরকারের কাছে আবেদনও জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পুলিশের কাছে সিসিটিভির কোনো ফুটেজ এসে পৌঁছায়নি।
খোদ পোষ্টাল বিভাগের একাংশের অভিমত জনগণের এই টাকা এভাবে লোপাট হওয়া এবং জেলা পুলিশ এই ঘটনার এখনও কোনো কিনারা করতে না পারায় ট্রেজারি কেলেংকারির তদন্তভার সিবিআই এর হাতে তুলে দেওয়া উচিত।



(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});