Headlines
Loading...
বর্ধমানে প্রশাসনের বাতিল ঘোষণার পর সোমবার কাঞ্চননগরে দুর্গা কার্নিভ্যালকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা।

বর্ধমানে প্রশাসনের বাতিল ঘোষণার পর সোমবার কাঞ্চননগরে দুর্গা কার্নিভ্যালকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা।

সৌরীশ দে,বর্ধমান:কলকাতার পর বর্ধমানেও এবার দূর্গা কার্নিভাল। যে নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে পরপর দুবছর দুর্গা কার্নিভ্যাল করার প্রস্তুতি নিয়েও শেষমেষ বাতিল ঘোষণা করেছিল জেলা প্রশাসন, সেই কার্নিভাল মাত্র ২০০ জন সেচ্ছাসেবকে নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়ে ১৭ টি পুজো কমিটিকে নিয়ে আগামীকাল আয়োজন করছে কার্নিভাল কমিটির সভাপতি তথা বর্ধমান পুরসভার কাউন্সিলার খোকন দাস। কার্যত জেলা প্রশাসন বাতিল ঘোষণা করলেও বর্ধমানে সেই দুর্গা কার্নিভ্যালই অনুষ্ঠিত করে দেখিয়ে দিতে চলেছেন কাউন্সিলার খোকন দাস। বর্ধমানের কাঞ্চননগরে ১৭টি পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে ২৩ ও ২৪ নং ওয়ার্ড এবং বেলকাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের ২টি সংসদ এলাকা নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বর্ধমান জেলার বুকে প্রথম দুর্গা কার্নিভ্যাল।
এই কার্নিভ্যাল কমিটির সভাপতি খোকন দাস জানান, সোমবার দুপুর ২টো থেকে কঙ্কালেশ্বরী কালিমন্দির সংলগ্ন মাঠ থেকে শুরু হচ্ছে এই কার্নিভ্যাল। হাজির থাকার কথা জেলাপরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু, জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব, জেলা পুলিশ সুপার কুণাল আগরওয়াল, বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের। কঙ্কালেশ্বরী কালিমন্দির প্রাঙ্গণে প্রতিটি পুজো উদ্যোক্তা তাঁদের শোভাযাত্রার বিষয়বস্তু উপস্থিত অতিথিদের প্রদর্শন করবেন ৫ মিনিটের মধ্যে। এরপরই শুরু হবে এই শোভাযাত্রা। রথতলা, উদয়পল্লী প্রভৃতি এলাকা ঘুরে খর্গেশ্বর এলাকার
দাসপুকুরে বিসর্জন করা হবে এই ১৭টি দুর্গাপ্রতিমাকে। বস্তুত, যেখানে খোদ জেলা প্রশাসন নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে এবারেও কয়েকদফায় বৈঠক করেও শেষ পর্যন্ত দুর্গা কার্নিভ্যালের আয়োজন থেকে পিছিয়ে এল, সেখানে খোকন দাসের নেতৃত্বে এই কার্নিভ্যালের আয়োজন নিয়ে রীতিমত উন্মাদনার পারদ চড়তে শুরু করেছে শহর জুড়ে।
সে দিক দিয়ে দেখতে গেলে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের হাজির করেই ১৭টি পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে এই কার্নিভ্যাল করে বর্ধমানের বুকে ইতিহাস সৃষ্টি করতে চলেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, খোকনবাবু জানান, মূলত কাঞ্চননগর এবং সন্নিহিত এলাকায় প্রথম এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুজো উদ্যোক্তাদের উজ্জীবিত করার জন্য তারা পুরষ্কারও দেবেন। এছাড়াও অংশগ্রহণকারী প্রতিটি পুজো উদ্যোক্তাদের ১০হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। কার্নিভ্যালে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদেরও যথাক্রমে ২৫হাজার,১৫হাজার ও ১০হাজার টাকা আর্থিকভাবে পুরষ্কৃত করা হবে। সেরাদের বেছে নেওয়ার জন্য বোলপুর ও বর্ধমান শহরের বিশিষ্ট তিন জন বিচারককে নিয়োজিত করা হয়েছে। মোট ৫০নম্বর থাকছে বিচারের মান নির্ধারণের জন্য। যার মধ্যে রয়েছে ১০নং প্রতিমার জন্য, ১০নং পুজোর থিমের জন্য, ১০নং কার্নিভ্যাল থিমের জন্য এবং ২০নম্বর থাকছে শৃঙ্খলার ওপর।
প্রসঙ্গত, যে নিরাপত্তার অজুহাতে বর্ধমান জেলা প্রশাসন সরকারীভাবে ২০টি পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে জিটিরোডে কার্নিভ্যাল করতে গিয়ে পিছিয়ে এসেছে সেখানে খোকনবাবুদের এই কার্নিভ্যালে থাকছে ১০০জন সিভিক ভলেণ্টিয়ার এবং মাত্র ১০০জন স্বে্ছাসেবী। তিনি জানিয়েছেন, এই ২০০জন নিয়েই তারা সুশৃঙ্খলভাবে এই কার্নিভ্যাল উপহার দেবেন শহরবাসীকে। ফলে জেলা প্রশাসনের তরফে কার্নিভ্যাল বাতিল করার পর খোদ পুরসভার দাপুটে কাউন্সিলার খোকনদাসের নেতৃত্বে কেবলমাত্র কাঞ্চননগরেই ১৭টি পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠিত করার এই ঘটনায় শহর জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});