Headlines
Loading...
বর্ধমানে পুজোর মধ্যেই জেলা কোষাগারের ভল্ট থেকে লোপাট ৫৫ লক্ষাধিক টাকা, তদন্তে পুলিশ।

বর্ধমানে পুজোর মধ্যেই জেলা কোষাগারের ভল্ট থেকে লোপাট ৫৫ লক্ষাধিক টাকা, তদন্তে পুলিশ।

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান:বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো।পুজোর মধ্যেই বড়সড় ধাক্কা খেলো পূর্ব বর্ধমান জেলার শহর বর্ধমানের পুলিশী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। খোদ জেলা কোষাগার থেকেই বর্ধমান মুখ্য ডাকঘরের ভোল্ট ভেঙ্গে গায়েব হয়ে গেলো প্রায় ৫৫লক্ষ টাকা। আর এরপরই শুরু হয়েছে তীব্র আলোড়ন। বর্ধমানের মুখ্য ডাকঘরের ক্যাশ ওভারসিয়ার সাগর মাঝি জানিয়েছেন, সপ্তমীর দিন সন্ধ্যে প্রায় সাড়ে ৬টা নাগাদ তিনি ১ কোটি ১৯ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা ট্রেজারির ভল্টে রেখে দিয়ে যান। এরপর নবমীর দিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ তিনি সেই টাকা নিতে এসে দেখেন প্রায় ৫৫ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ভল্টের পাত কেটে চুরি করা হয়েছে। এরপরই নড়েচড়ে বসে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। উল্লেখ্য, জেলা কোষাগারের উল্টোদিকেই রয়েছে জেলা পুলিশের মহিলা থানা। এমনকি সর্বক্ষণের জন্য এই ট্রেজারিতে ৪জন সশস্ত্র পুলিশ পাহারায় থাকেন। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে থাকা ট্রেজারির এই ভল্ট বিভাগে কিভাবে টাকা লোপাট হল তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। যদিও জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনার পরই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ওই ৪জন পুলিশ কর্মীকে ক্লোজ করা হয়েছে।
অপরদিকে, সমগ্র ঘটনার তদন্তে বর্ধমান থানার পুলিশ নামলেও দফায় দফায় সিআইডিও তদন্ত শুরু করেছে। রবিবার কলকাতা থেকে সিআইডির ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসারের নেতৃত্বে ৫জন কোষাগারের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে যান। জেলা কোষাগার ভবনের প্রবেশ ও বাহির পথের অবস্থা সহ ভবনের পিছনের দিক থেকে ভিতরে আসার কোনো সম্ভাবনা ছিল বা আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখেন তাঁরা। এমনকি সিসি ক্যামেরার অবস্থান,ক্যাশ রেজিস্টার,উপস্থিতির খাতাও পরীক্ষা করেন তদন্তকারী দল। যদিও কিভাবে এবং কারা ওই টাকা লোপাট করল,সেই টাকা কোথায় গেল তা নিয়ে রীতিমত ধন্দে পুলিশ।
এরই পাশাপাশি বিশাল অংকের এই টাকা লোপাট হওয়ার ঘটনায় ডাকঘরের মাধ্যমে বিভিন্ন সঞ্চয়প্রকল্পের টাকা তুলতে গিয়ে রীতিমত হয়রানির মুখে পড়েন সাধারণ মানুষ। ডাকঘর সূত্রে জানানো হয়েছে, নবমীর দিনই ওই ১ কোটি টাকা জেলার বিভিন্ন ডাকঘরে পাঠানোর কথা ছিল। আচমকা এই ঘটনা ঘটায় সমস্যা তৈরী হয়। সূত্রের খবর, লোপাট হওয়া টাকার সিংহভাগ ২ হাজার এবং ৫০০ টাকার নোটে ছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
                                                                                                                  ছবি - সুরজ প্রসাদ 

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});