Headlines
Loading...
পুজোর মুখে শহর বর্ধমানে কার্জন গেট ও উল্লাস মোড়ের ট্রাফিক সিগন্যাল খারাপ,চরম বিভ্রান্তি।

পুজোর মুখে শহর বর্ধমানে কার্জন গেট ও উল্লাস মোড়ের ট্রাফিক সিগন্যাল খারাপ,চরম বিভ্রান্তি।

ফোকাস বেঙ্গল নিউজ ডেস্কঃ কখনো একসঙ্গে দুদিকে লাল,আবার কখনো একইসাথে দুদিকেই সবুজ।আবার কখনো লাল,সবুজ কিছুই নেই। বর্ধমান কার্জন গেট চত্বরে ট্রাফিক সিগন্যালের এহেন আজব গেঁড়াকলে পরে প্রায় প্ৰতিদিনই বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছেন কয়েকশো দুচাকা ও চারচাকা গাড়ির চালক। অনিচ্ছাকৃত হলেও  দিতে হচ্ছে গাঁটগচ্ছা। এরকমই অনিচ্ছাকৃত ভুলের মাসুল গুনেছেন কয়েকজন সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,ট্রাফিক সিগন্যাল সিস্টেম নিয়ে তাঁদের ব্যাপক ক্ষোভের কথা।
প্রায় প্রতিদিনই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য অনেককেই পড়তে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশের খপ্পরে।   সম্প্রতি বর্ধমান স্টেশন এর দিক থেকে মোটর সাইকেল নিয়ে বিরহাটার দিকে আসছিলেন এক বাইক আরোহী।পিছনে বসে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। টেলিফোন এক্সচেঞ্জ পার করার পর সিগন্যাল লাল থাকায় গাড়ির গতি কমিয়ে দাঁড়াবার চেষ্টা করতেই সিগন্যাল সবুজ হয়ে যায়, সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলি এগিয়ে যেতেই সেই বাইক আরোহীও এগিয়ে যান। কিন্তু মুহূর্তে মধ্যে হটাৎ সিগন্যাল আবার লাল হয়ে গিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। ইতিমধ্যে কার্জন গেট চত্বরে কর্তব্যরত ট্রাফিক অফিসার এগিয়ে যাওয়া সকলকে ছেড়ে দিয়ে রাস্তার মাঝেই এই বাইক আরোহীকে আটকে দেন। বাইক আরোহী কারণ জানতে চাইলে অফিসার জানান যে তিনি সিগন্যাল ব্রেক করেছেন। কেন তিনি সকলের সাথেই এগিয়ে গিয়েছিলেন তার কারণ পরিষ্কার করে বোঝালেও অফিসার শুনতে চান না। তখন অফিসার গাড়ির যাবতীয় কাগজ দেখানোর পাশাপাশি কেন একজনের মাথায় হেলমেট আছে অন্যজনের মাথায় নেই,কিংবা এতো জোরে গাড়ি চালানোর কারণ কি ইত্যাদি নানান বিষয় উত্থাপন করেন। বিভ্রান্ত দম্পতি তখন তাঁদের গাড়ির সমস্ত বৈধ কাগজ পত্র দেখিয়ে রেহাই চান। এমনকি ট্রাফিক সিগনালের ত্রুটির কথাও ট্রাফিক অফিসে জানান। উল্টে কর্তব্যরত সিভিক ও অফিসারেরা চড়া গলায় বলে দেন এই সব দেখা তাদের বিষয় নয়,এগুলো দেখার জন্য উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ রয়েছে। শেষমেষ তিনশো টাকা জরিমানা দিয়ে এবং প্রায় চল্লিশ মিনিট সময় নষ্ট হওয়ার পর নিস্তার পান দম্পতি। উল্লেখ্য,এরই মাঝে শখানেক দু চাকা ও চার চাকা ততক্ষনে সিগন্যাল ভেঙে চলে গিয়েছে।
কার্জন গেট চত্বরের ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা নিয়ে শহরবাসীর ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। প্রায়ই এই সিগন্যাল পোস্টগুলির আলো ঠিকঠাক জ্বলে না। তার জন্য মাঝে মধ্যেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে অফিসারদের যান নিয়ন্ত্রন করতে হয়। তবু তখন সেই অফিসারের নির্দেশ যান চালকেরা সরাসরি দেখতে পান। কিন্তু ট্রাফিক সিগনালের সাম্প্রতিক বিভিন্ন ভুতুড়ে কাণ্ডকারখানায় বিভ্রান্ত ও বিরক্ত শহরবাসী। শহরবাসীর একাংশের অভিযোগ, সিগন্যালিং সিস্টেমের উন্নতি না করে বিনা দোষে এইভাবে নানান অছিলায় যাত্রীদের হেনস্তা করা বরদাস্ত করা যায় না। 
বর্ধমান শহরের ওসি ট্রাফিক চিন্ময় মুখার্জী জানিয়েছেন,শহরের কার্জন গেট ও উল্লাস মোড়ের ট্রাফিক সিগন্যাল সিস্টেমে ত্রুটি রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই দুই জায়গার সিগনাল সিস্টেমকে ঠিক করার জন্য দপ্তরকে জানানো হয়েছিল। আগামীকাল সকাল ১১টার মধ্যে ঠিক করার কাজ শুরু করা হবে। পুজোর সময় যাতে সাধারণ মানুষের যানবাহন নিয়ে চলাচলের সময় কোনো অসুবিধা না হয় তার জন্য জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। 

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});