Headlines
Loading...
কালনায় জঙ্গলের ভিতর থেকে মানুষের মাথার খুলি,হাড়গোড় উদ্ধার,চাঞ্চল্য।

কালনায় জঙ্গলের ভিতর থেকে মানুষের মাথার খুলি,হাড়গোড় উদ্ধার,চাঞ্চল্য।

পল্লব ঘোষ,কালনা:রবিবার কালনা থানার রামেশ্বরপুর কোয়ালডাঙা গ্রামের জঙ্গলের মধ্যে থেকে মানুষের মাথার খুলি, কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করলো পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শুয়োর খুঁজতে গিয়ে স্থানীয় কয়েকজন জঙ্গলের মধ্যে একটি মাথার খুলি,হাড়গোড়,পোষাক ও জুতো পরে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে কালনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কঙ্কাল ও অন্যান্য জিনিস উদ্ধার করে কালনা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।পরে ময়না তদন্তের জন্য কঙ্কাল সহ উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্র বর্ধমানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে কঙ্কাল উদ্ধারের খবর চাউর হতেই কোয়ালডাঙার এক বাসিন্দা উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল ও সঙ্গে পোষাক তাঁদের পরিবারের নিখোঁজ ব্যক্তির বলে পুলিশের কাছে দাবি করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা থানার হাটাকালনা পঞ্চায়েতের রামেশ্বরপুর কোয়ালডাঙা গ্রাম লাগোয়া এই জঙ্গলে সেভাবে মানুষ যাতায়াত করে না। রবিবার সকালে স্থানীয় কয়েকজন শুয়োর খুঁজতে জঙ্গলে গেলে একটি মাথার খুলি, দেহের অন্যান্য হাড়গোড় সহ লুঙ্গি, গামছা ও একটি লাল রঙের কাপড়ের ছোট টুকরো পড়ে থাকতে দেখে। কঙ্কাল উদ্ধারের খবর পেয়ে গ্রামের বাসিন্দা শেফালি দাস কঙ্কাল ও অন্যান্য জিনিসগুলি তার স্বামী পরমানন্দ দাসের বলে দাবি করেন।
শেফালী দেবী জানান,প্রায় দেড় মাস যাবৎ তার স্বামী নিখোঁজ ছিলেন। তিনি এও জানান, তার স্বামী প্রায়ই বাড়িতে ঝগড়াঝাটি করে বেরিয়ে যেত,তারপর অনেকদিন পর ফিরত। এবারেও তাই বাড়ির সবাই ভেবেছিলেন সে রকমই আবার ফিরে আসবে।
প্রশ্ন উঠছে কঙ্কাল উদ্ধারের পর নিখোঁজ স্বামীর দেহ বলে দাবি করলেও কেন থানায় কোনো নিখোঁজ ডাইরি করা হয়নি ? কিভাবেই বা তাঁর মৃত্যু হল ? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে কঙ্কাল উদ্ধারের পর শেফালী দেবীর বিবরণ অনুযায়ী তাঁর স্বামীর কয়েকটি বিষয়ের সঙ্গে কঙ্কালের মিল পাওয়া গেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। যদিও ফরেনসিক রির্পোট ও বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া কোন কিছুই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শেফালী দেবীর বক্তব্য অনুযায়ী,স্বামী পরমানন্দ দাসের দাঁতের উপর পাটির কয়েকটি দাঁত ছিল না। উদ্ধার হওয়া খুলিটিতেও একরকম উপরের পাটির কয়েকটি দাঁত নেই। কঙ্কালের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া লাল কাপড়টিও তার স্বামীর বলে দাবি করেছেন শেফালী দেবী। তিনি জানান,গত চৈত্র মাসে সন্ন্যাসী হওয়ার সময় এই লাল কাপড়টি কিনেছিলেন। লুঙ্গিটিও তাঁদের বাড়ির। 

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});