ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,রায়না: একটা সময় ছিল যখন মানুষ এগ্রিকালচার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশুনা করলে হাসাহাসি করতো। বলতো আমেরিকা থেকে বই এনে হারভেস্টার কি ভাবে চালানো যায় সেই শিক্ষার কি মূল্য আছে। কিন্তু আজ দেখুন পরিসংখ্যায়ন বলছে দেশের অন্যান রাজ্যের তুলনায় গত বছর পশ্চিমবাংলায় সব থেকে বেশি যন্ত্রায়ন হয়েছে। এখন আর কৃষি কাজের জন্য পুরুলিয়া,বাঁকুড়া থেকে চাষের সময় লোক আনার জন্য কাঠ খড় পড়াতে হয় না। পাশাপাশি এটাও সত্যি এবছর অযোধ্যা পাহাড়ের নিচে সেখানকার চাষীরা ১১ হাজার হেক্টর জমিতে ধান উৎপন্ন করেছেন।আবার রাজ্যের অন্যান জেলাগুলোতেও শ্রমিক সমস্যাকে পাত্তা না দিয়ে যন্ত্রের সাহায্যে দিব্বি ফসল উৎপাদনের কাজ এগিয়ে চলেছে। রবিবার পূর্ব বর্ধমানের রায়নার গোতানে আচার্য সুকুমার সেন মহাবিদ্যালয়ের বিজয়া সন্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এই কথা বললেন মুখমন্ত্রী মুখ্য কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার।
তিনি এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন,কৃষি নিয়ে পড়াশোনা করার গুরুত্ব আজ অপরিসীম। এক সময় এক এক জন মানুষের কয়েকশো বিঘে চাষযোগ্য জমি ছিল। এখন সেই সবের বেশির ভাগ টুকরো হয়েছে। শ্রমিক সমস্যাও বেড়েছে। কিন্তু কৃষি ক্ষেত্রে যন্ত্রের প্রভাব সফল ভাবে প্রয়োগ হওয়ার ফলে সেই সমস্যার আজ অনেকটাই সমাধান হয়েছে। সুতরাং আজকের দিনে এগ্রিকালচার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশুনা করলে ভবিষ্যতে চাকরি নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন হবে না।
প্রদীপ বাবু তার বক্তব্যে আরো বলেন,রাজ্য সরকার কৃষকদের সেল্ফ হেল্প গ্রুপ তৈরী করে কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছে। সরকার এই সব গ্রুপকে ৪০শতাংশ পর্যন্ত অনুদান দিচ্ছে। প্রয়োজনে তারা ১কোটি টাকা পর্যন্ত কৃষির যন্ত্রাংশও কিনতে পারবেন।
এদিন অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ,অধ্যাপক,ছাত্রছাত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জোৎশ্রীরাম পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ ঘোষ।

