ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান:বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো। পুজোর আগেই বিষাদের সুর শহর বর্ধমানে। দূর্গা পুজোর প্যাণ্ডেল বাঁধার কাজ করতে গিয়ে প্যান্ডেল লাগোয়া ওভারহেড তারে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা গেলেন এক শ্রমিক। অবাক ব্যাপার এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন পুলিশ ও বিদ্যুৎ দপ্তরে খবর দিলেও প্রাথমিকভাবে এটা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পরে না বলে দায় এড়িয়ে যায় দুই কতৃপক্ষই। ফলে কয়েকঘণ্টা মৃতদেহ প্যাণ্ডেলের ওপরেই পড়ে থাকে। এমনকি ঘটনা ঘটার পরেই দমকলে খবর দিলেও দমকলের গাড়ি গিয়ে যখন পৌঁছোয় ততক্ষনে স্থানীয় বাসিন্দারা মৃতদেহ নামিয়ে হাসপাতাল নিয়ে চলে গেছে। আর এই ঘটনায় রীতিমত ক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্থানীয় বাসিন্দা সহ মৃতের পরিবারের লোকজন। শুক্রবার দুপুরে বর্ধমান শহরের টিকরহাট বেলতলা সার্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির পুজো প্যাণ্ডেলের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল শ্যামা ঘড়ুই (৪৫) নামে ওই শ্রমিকের। বাড়ি বর্ধমান শহরের মিঠাপুকুর হটাৎকলোনি এলাকায়।
উল্লেখ্য,একের পর এক মিটিং করে নানান নিয়ম কানুন ও বিধি নিষেধ আরোপ করেছে প্রশাসন।এমনকি পুজো কমিটিগুলির থেকে নিরাপত্তাজনিত সমস্ত কাগজপত্র জমা নিয়েছে প্রশাসন। মণ্ডপের উচ্চতা কত হবে,মণ্ডপের পাশে কোনো বিদ্যুতের খুঁটি আছে কিনা ,কোনো রাস্তা আটকে অথবা বাধা সৃষ্টি করে পুজো হচ্ছে কিনা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে পুজো কমিটিগুলিকে আগেই জানাতে হয়েছে। আর তারপরেই প্রশাসনের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে পুজো করার অনুমতি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে,এর পরও কি ভাবে বিদ্যুতের খুঁটিকে ঘিরেই মণ্ডপ তৈরির কাজ চলছিল। তাহলে কি টিকরহাট বেলতলার মতো এমন অনেক জায়গাতেই নির্দিষ্ট প্রশাসনিক পরিদর্শন ছাড়াই পুজোর প্রস্তুতি চলছে? শ্যামা ঘড়ুই-এর এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসনিক এই গাফিলতির বিষয়টিও এদিন নজরে এসেছে।
বেলতলা পুজো কমিটির সম্পাদক নির্মলেন্দু চ্যাটার্জ্জী জানিয়েছেন, ২৬ বছর ধরে তাঁরা এখানে দুর্গাপুজো করে আসছেন। এবারে প্যাণ্ডেল করার জন্য শ্রীদুর্গা ডেকরেটরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারাই এই কাজ করছিলেন। শ্যামা ঘড়ুই অন্যান্য কাজের পাশাপাশি ডেকরেটরেরও কাজ করতেন। শুক্রবার দুপুর প্রায় ২টো নাগাদ ওই কর্মী প্যাণ্ডেলের ওপর উঠে কাজ করছিলেন। এই সময় অসাবধানতাবসত ওভারহেড বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। তিনি জানান, এই ঘটনার পরই তাঁরা বর্ধমান থানা, বিদ্যুত দপ্তর এবং দমকল বিভাগকে খবর দেন। খবর পেয়েই বিদ্যুত দপ্তরের লোকজন এলেও তারা দেহ নামাতে চায়নি। দীর্ঘক্ষণ দেহ পড়ে থাকে প্যাণ্ডেলের ওপর। এলাকার বাসিন্দারা এদিন অভিযোগ করেন, বর্ধমান থানায় জানানো হলেও অনেক দেরীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। তা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভও প্রকাশ করেন বাসিন্দারা।
বেলতলা পুজো কমিটির সম্পাদক নির্মলেন্দু চ্যাটার্জ্জী জানিয়েছেন, ২৬ বছর ধরে তাঁরা এখানে দুর্গাপুজো করে আসছেন। এবারে প্যাণ্ডেল করার জন্য শ্রীদুর্গা ডেকরেটরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারাই এই কাজ করছিলেন। শ্যামা ঘড়ুই অন্যান্য কাজের পাশাপাশি ডেকরেটরেরও কাজ করতেন। শুক্রবার দুপুর প্রায় ২টো নাগাদ ওই কর্মী প্যাণ্ডেলের ওপর উঠে কাজ করছিলেন। এই সময় অসাবধানতাবসত ওভারহেড বিদ্যুতের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। তিনি জানান, এই ঘটনার পরই তাঁরা বর্ধমান থানা, বিদ্যুত দপ্তর এবং দমকল বিভাগকে খবর দেন। খবর পেয়েই বিদ্যুত দপ্তরের লোকজন এলেও তারা দেহ নামাতে চায়নি। দীর্ঘক্ষণ দেহ পড়ে থাকে প্যাণ্ডেলের ওপর। এলাকার বাসিন্দারা এদিন অভিযোগ করেন, বর্ধমান থানায় জানানো হলেও অনেক দেরীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। তা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভও প্রকাশ করেন বাসিন্দারা।
ছবি - সুরজ প্রসাদ


