Headlines
Loading...
বর্ধমানে পুজো এবং মহরমকে নিয়ে প্রশাসনের আইনশৃখলাজনিত সভা কার্যত ফ্লপ।

বর্ধমানে পুজো এবং মহরমকে নিয়ে প্রশাসনের আইনশৃখলাজনিত সভা কার্যত ফ্লপ।

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান :
বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের ডাকা আসন্ন দুর্গাপুজো এবং মহরম উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা জনিত বৈঠক কার্যত ফ্লপ করলো। ফলে এবছরের দূর্গা পূজা ও মহরম এর সময় অশান্তির আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারছেন না কোনো পক্ষই। এমনকি এদিন বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে আয়োজিত এই সভায় মহরম কমিটির দু একজন প্রতিনিধি ছাড়া দূর্গা পূজা কমিটির কোনো প্রতিনিধি কেন উপস্থিত নেই সে ব্যাপারে খোদ জেলাশাসক কৈফিয়ত চেয়েছেন।
কেন্দ্রীয় মহরম কমিটির সম্পাদক স্বপন মুখার্জ্জী এদিন সরাসরি জানান, এবছর পুজো এবং
মহরমকে কেন্দ্র করে অশান্তির আশংকা করছেন তারা।কিন্তু প্রশাসন এবারে সম্পূর্ণ গাছাড়া ভাব দেখাচ্ছে। এর ফলে উৎসবের পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে। দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। 
বর্ধমান পুরসভার কাউন্সিলার খোকন দাস এদিন পুলিশ প্রশাসনকে কার্যত সমালোচনার মুখে দাঁড় করান। তিনি বলেন,বর্তমান সময়ে একটা অস্থিরতা সৃষ্টির চক্রান্ত করছে গেরুয়া শিবির। বিশেষ
করে পুজো ও মহরমকে কেন্দ্র করে একটা অশান্তির আশংকা রয়েই যাচ্ছে। কিন্তু এব্যাপারে যে সমস্ত দুর্গাপূজো কমিটি বা মহরম কমিটিদের স্বতস্ফূর্তভাবে থাকার কথা ছিল তারা কেউই না থাকায় একটা অন্য বার্তা পৌঁছালো। প্রশাসনকে এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা দরকার বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য নিয়মানুযায়ী প্রত্যেকটি থানা থেকেই সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটি এবং মহরম কমিটিকে এব্যাপারে নির্দেশ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কার্যত কোনো পুজো কমিটিকেই এদিনের বৈঠক সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি বলে প্রশাসন সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে। 
জেলাশাসক জানান, পুজো এবং মহরম পালন নিয়ে ইতিমধ্যেই পুলিশ এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারী করা হয়েছে। তা সকলকেই মেনে চলার আবেদন রাখেন তিনি। জেলাশাসক এদিন আরো জানান, এবছর বর্ধমান শহরে কলকাতার অনুকরণে যে কার্নিভ্যালের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল তা বিশেষ কারণে বাতিল করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার কুনাল আগারওয়াল জানান, গত ২০১৫ সালে যেখানে পুজোর সময় ২৪টি ইভটিজিং-এর ঘটনা ঘটেছিল সেখানে গতবছর ঘটেছে মাত্র ৬টি। কেবলমাত্র সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন থাকায় এই সাফল্য পাওয়া গেছে। তিনি জানান, প্রতিবছরের মত এবছরও পুজোর সময় বর্ধমান
শহরে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারী থাকছে। নিষেধাজ্ঞা জারী থাকছে ৩০ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের ক্ষেত্রেও। এমনকি এবছর প্রত্যেকটি বড় পুজো উদ্যোক্তাদেরই সিসিটিভি লাগানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।তিনি জানান,উৎসবের দিনগুলিতে যাতে আইনশৃঙ্খলাজনিত কোনো সমস্যা তৈরী না হয় তার জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  
এদিনের সভায় হাজির ছিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, সাংসদ মমতাজ সংঘমিতা, বিধায়ক নার্গিস বেগম প্রমুখরাও। সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এদিন গুজবে কান না দেওয়া এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। বিধায়ক নার্গিস বেগম গুজব বা সোস্যাল মিডিয়ার অপপ্রচার নিয়ে এদিন সজাগ থাকার আবেদন জানিয়েছেন ।
                                                                                                                ছবি - সুরজ প্রসাদ 





(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});