Headlines
Loading...
বাংলাদেশে বন্যা ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্যসংকট মেটাতে চাল যাচ্ছে বর্ধমান থেকে।

বাংলাদেশে বন্যা ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্যসংকট মেটাতে চাল যাচ্ছে বর্ধমান থেকে।

ফোকাস বেঙ্গল নিউজ ডেস্কঃ জোড়া সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশ। একদিকে বিধ্বংসী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দেশের প্রায় ৮ মিলিয়ন টন ধান। অপরদিকে মায়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের লাগাতার অনুপ্রবেশের ফলে সেই দেশে দেখা দিয়েছে গভীর খাদ্যসংকট। স্বাভাবাবিকভাবেই এই দুই সমস্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার যুদ্ধ কালীন তৎপরতায় ২ লক্ষ মেট্রিক টন চাল আমদানী করার কথা ঘোষণা করেছেন। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এই রাজ্যের প্রায় ৫টি জেলা থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে চাল বাংলাদেশে রপ্তানি শুরু হয়েছে। যার মধ্যে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার রাইসমিলাররা।
রাজ্যের রাইসমিল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক তথা বর্ধমান জেলা রাইস মিল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক সুব্রত মণ্ডল এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছেন,   আগে কেবলমাত্র বর্ধমান তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে সারা মাসে গড়ে যেখানে ৩০০-৪০০ গাড়ি চাল সাধারণতভাবে বাংলাদেশে রপ্তানি হতো ,সেখানে উদ্ভূত বাংলাদেশের এই পরিস্থিতিতে প্রতিদিন গড়ে সমপরিমাণ চাল বাংলাদেশের পাঠানো হচ্ছে। মূলতঃ হিলি, বনগাঁ, মুর্শিদাবাদ, মালদা এবং গোপডাঙা প্রভৃতি বর্ডার দিয়ে এই চাল বাংলাদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
 
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর  শেখ হাসিনার  মতে, মিয়ানমারে ‘শুদ্ধি অভিযান’- এর নামে চলমান সামরিক অভিযানে রাখাইন রাজ্যের মুসলমানদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি জানান, রাখাইনে মুসলিম নিধন অভিযান শুরুর পর গত ২৫ আগস্ট থেকে চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এদের ৬০ শতাংশই শিশু। শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা একটা অসহনীয় মানবিক বিপর্যয়। আমি নিজে সেখানে গিয়েছি এবং তাদের কাছ থেকে, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের অত্যাচার-নির্যাতনের কথা শুনেছি।শরণার্থীদের খাদ্যের যোগান ঠিক রাখতে বিভিন্ন দেশ থেকে চাল সহ অন্যান খাদ্যসামগ্রী আমদানি করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। 
সুব্রতবাবু জানিয়েছেন, বাংলাদেশের প্ল্যানিং মিনিষ্টার এএইচএম মুস্তাফা কামাল ঢাকার একটি বৈঠকে জানান, বন্যা পরিস্থিতির জন্য সেখানে ৮ মিলিয়ন টন বোরো চাষের ক্ষতি হয়েছে। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকার খোদ মায়ানমারের কাছ থেকেই ১ লক্ষ মেট্রিক টন সাদা চাল কিনবে বলে জানিয়েছেন । তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে এই চাল রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে প্রায় ১৫০টি রাইসমিল। বর্ধমান জেলায় চালু রয়েছে ৩৪০টি রাইসমিল। বর্ধমানেই প্রায় ২৫০টি চালের গদি রয়েছে যারা রাইসমিলারদের থেকে চাল কিনে এক্সপোর্টারের মাধ্যমে চাল রপ্তানি করেন।









(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});