ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,তমলুক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সিপিএম এর জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহিকে ৭ দিনের সি আই ডি হেফাজতের নির্দেশ দিল তমলুক জেলা আদালতের বিচারপতি। সোমবারই তাকে কলকাতার ভবানীভবনে সি আই ডি দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য,গত ৬ নভেম্বর ২০০১ সালে পাঁশকুড়া থানার মুরলিচক গ্রামের তৃণমূল নেতা সুবল দোলাই সহ মোট ৩ জন নিখোঁজ হয়ে যায়। অভিযোগ সেই সময় সিপিএম ক্ষমতায় থাকায় অভিযোগকারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বাধা দেয় সিপিএম নেতৃত্ব। এর পর ২০০৪ সালে সুবলবাবুর স্ত্রী শ্রীমতি বিজলী দোলাই পাঁশকুড়া থানায় সিপিএম নেতা নিরঞ্জন সিহি সহ মোট ৮ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর উপযুক্ত তথ্য প্রমান না মেলায় ৮ জনকে মামলা থেকে মুক্তি দিয়ে দেওয়া হয়। এর পর ২০১১ সালের ২৫অক্টবর পুনরায় ৩০২ / ৩৬৪ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ মামলার গতি প্রকৃতির দিকে সঠিক নজর না দেওয়ায় মামলা যায় সি আই ডির হাতে। সি আই ডি মামলার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছিল।
সাম্প্রতি কিছুদিন আগে জেলাশাসকে দপ্তরের সামনে পুলিশের উপর চড়াও, সরকারি জিনিস ভাঙ্গচুর সহ একাধিক অভিযোগে নিরঞ্জন সিহি সহ মোট ১৩ জন বামপন্থিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৪ দিনের জেল হেফাজতে ছিল তারা। গত শনিবার পুরনো মামলার তদন্তের জন্য তমলুক আদালতে নিরঞ্জন সিহিকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানায় সিআইডি। আজ সি আই ডির সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে তমলুক আদালতের বিচারপতি দেবনাথ প্রসাদ নিরঞ্জনবাবুর জামিনের আবেদন খারিজ করে ৭ দিনের জন্য সি আই 'ডি হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ২৫ শে সেপ্টেম্বর পুনরায় তমলুক আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

