ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: আসছে নয়া সংকট। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের ত্রাণ ও বিপর্যয় দপ্তর থেকে সমস্ত রাজ্য সরকারকে আসন্ন তীব্র গরমের দাপট সম্পর্কে সচেতন করে দিয়েছে। পরিবেশবিদদের দাবী, আগামী মে মাস থেকে গরমের প্রভাব তথা তীব্র দাবদাহ শুরু হতে পারে। ফলে আগামী মে মাস থেকেই জায়গায়
জায়গায় শুরু হতে পারে তীব্র পানীয় জলের সংকট। যে সমস্ত জায়গা ইতিমধ্যেই রুক্ষ্ম, সেই সমস্ত জায়গার পাশাপাশি জল সংকটের এই প্রভাব কার্যত সমস্ত অঞ্চল জুড়েই পড়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত প্রবল।
আর এরই মধ্যে এবার তীব্র সংকট সৃষ্টি হওয়ার মুখে রক্তের যোগানও। ইতিমধ্যেই লকডাউনের জেরে অন্যান্য জেলার পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও হাসপাতালগুলিতে রক্ত সংকট চলছে। আর তা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটানা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।
সংগৃহিত রক্ত
রশ্মি ব্লাড ব্যাংকের হাতে তুলে দিয়েছে জেলা পুলিশ।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। নির্দিষ্ট করোনা সংক্রান্ত বিধি মেনে রক্তদান শিবির পালন করা যেতেই পারে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বার্তা পাবার পর এগিয়ে এসেছেন বহু ক্লাব, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে রাজনৈতিক দলও। কিন্তু সেখানেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে । করোনা আতঙ্কের জেরে অনেকেই এখন বাড়ি থেকে বার হতে চাইছেন না। ফলে সাধারণত রক্তদান শিবিরগুলিতে যে ধরণের উপস্থিতি সাধারণত হয় তাও হচ্ছে না। আর এই অবস্থায় রক্তদানকে অব্যাহত রাখতে অভিনব উদ্যোগ নিল মেমারীর পাল্লা পল্লীমঙ্গল সমিতি।
ঘরে বসেই ইচ্ছুক রক্তদাতা রক্ত দিতে পারবেন – এমন ব্যবস্থাই গ্রহণ করলেন তাঁরা। সমিতির সম্পাদক সন্দীপন সরকার জানিয়েছেন, কেউ রক্ত দিতে চাইলে লকডাউনে ঘর থেকে তাঁর বের হবার দরকার নেই। মেডিকেল টিম পৌছে যাবে তাঁর বাড়ি। সংগ্রহ করবে রক্ত। তিনি জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই প্রথম এ ধরণের উদ্যোগ নিয়েছে পল্লিমঙ্গল সমিতি। সঙ্গীত শিল্পী সিধু দার উদ্যোগে ভরুকা ব্লাড ব্যাংকের সহযোগিতায় ঘরে বসেই রক্তদানের ব্যবস্থা করবেন তাঁরা।
আগামী সোমবার থেকে এই কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে। রক্তদান শিবিরের ভিড় এড়াতে ইচ্ছুক রক্তদাতার বাড়ি থেকেই রক্ত সংগ্রহ করবেন এই ক্লাবের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসকরা। এজন্য সমিতির পক্ষ থেকে একটি ফোন নাম্বারও দেওয়া হয়েছে ৯০৬৪৯৯৩১৩৬। এই নাম্বারে ফোন করে কেউ রক্ত দিতে চাইলে ভ্রাম্যমান রক্তসংগ্রহের মেডিকেল টিম ও গাড়ি পৌছে যাবে তাঁর বাড়ি। সমস্তরকম নিয়ম মেনে সংগ্রহ করা হবে রক্ত। সন্দীপনবাবু জানিয়েছেন, লকডাউনের জেরে রক্তের আকাল চারিদিকে । করোনার কারণে ক্যাম্প না হওয়া বা ব্লাডব্যাঙ্কে গিয়ে রক্তদান এখন অনেকটাই সীমিত। তাই তাঁরা এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন।