ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্বস্থলী: বিশ্ব জুড়ে মহামারী করোনা ভাইরাসের আক্রমণে যখন ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে, সেই সময় করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কারের পথে কয়েকধাপ এগিয়ে আশার কথা শোনালেন দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক তথা খোদ পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর নিমদহর বাসিন্দা বিজ্ঞানী গোবর্ধন দাস। বর্তমানে দিল্লির পালামবিয়া-র বাসিন্দা গোবর্ধন বাবু দীর্ঘদিন ধরে যক্ষা রোগের টিকা বিসিজি নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। আর এই কালজয়ী গবেষণার কাজে গোবর্ধন বাবুর সঙ্গে রয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের একঝাঁক প্রতিভাবান গবেষক।
যক্ষা রোগের টিকা বিসিজি কে একধাপ উন্নত করে করোনা ভাইরাস এর টিকা তৈরীর খোঁজ চালাচ্ছেন এই গবেষকের দল। যার মাথায় রয়েছেন এক বাঙালি বিজ্ঞানী তথা পূর্বস্থলীর গোবর্ধন দাস। গোবর্ধন বাবুর দাবি, ইতিমধ্যেই টিকা আবিষ্কারের পথে বেশ কয়েক ধাপ এগোনো গিয়েছে। গোবর্ধন বাবু জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে যক্ষা রোগের টিকা বিসিজি নিয়ে গবেষণা করে আসছেন তিনি এবং তার টিম। আর গবেষণার ফলস্বরূপ তাঁরা দেখেছেন, যে সমস্ত দেশে বিসিজি টিকাকরন করানো হয়, সেই সমস্ত দেশে করোনার প্রকোপ অনেকটাই কম। তাই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে বিসিজি টিকার ওপর করোনা ভাইরাস এর প্রোটিন লাগিয়ে কোভিড ১৯ টিকা আবিষ্কার করা সম্ভব। তারই চেষ্টা চালাচ্ছেন জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষকের দল।
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে গোবর্ধন বাবু ও তার টিমের আবিষ্কৃত গবেষণার বিষয় নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। আর সেই খবর এসেও পৌঁছেছে পূর্বস্থলীর নিমদহের বাড়িতে। বাড়িতে রয়েছেন গোবর্ধন বাবুর বৃদ্ধ বাবা মা। ছেলের এই প্রচেষ্টার খবরে তাঁরা দিনরাত ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করে চলেছেন। এই মহামারী থেকে বিশ্ববাসীকে বাঁচাতে বড় ছেলের এই টিকা আবিষ্কার যেন নতুন পথের সন্ধান দেয়, এই প্রার্থনাই সর্বক্ষণ করে চলেছেন গোবর্ধন বাবুর বাবা মা।
অন্যদিকে, গোবর্ধন বাবু এবং তাঁর টিমও বদ্ধপরিকর এই মারণ ভাইরাসের কামড় থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে প্রতিষেধক টিকা তৈরি করে দেওয়ার ব্যাপারে। একদিকে যখন টিকা আবিষ্কারের জন্য দিন রাত পরিশ্রম করে চলেছেন গোবর্ধন বাবু, ঠিক সেই সময় পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর আপামর মানুষ ঘরের ছেলের সাফল্যের অপেক্ষায় আশায় বুক বাঁধছেন।