ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান ষ্টেশনের পর এবার আতংক ছড়ালো বর্ধমানের কৃষকসেতু সংলগ্ন ইডেন ক্যানেলকে ঘিরে। ১৯৭৮ সালে তৈরী হওয়া প্রায় ৮৩ মিটার ডিভিসি ক্যানেলের ওপর এই সেতুকে ঘিরে রীতিমত আতংক ছড়ালো। আর এই ঘটনায় এবার এই সেতুকে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় মেরামতের উদ্যোগ নিলো পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। সোমবার এব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিক সহ জেলা বাস এ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হল।
বৈঠকে হাজির ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, জেলাশাসক বিজয় ভারতী, অতিরিক্ত জেলাশাসক অরিন্দম নিয়োগী,বর্ধমান থানার আই সি পিন্টু সাহা সহ পুলিশ দপ্তরের কর্তারাও। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি শম্পা ধাড়া জানিয়েছেন, এই ইডেন ক্যানেলের ওপর সেতুটিকে সংস্কার করার জন্য তাঁরা উদ্যোগী হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই এই সেতুটি দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। তাই এই সেতুর ভার বহনকারী বিয়ারিং পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
প্রতিনিয়তই এই সেতুর ওপর চাপ বাড়ছে। বিশেষত এই সেতুর ওপর দিয়েই বর্ধমান জেলার সঙ্গে বাঁকুড়া, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, হুগলী প্রভৃতি জেলার যোগাযোগ রক্ষিত হয়। সভাধিপতি জানিয়েছেন, প্রতিনিয়তই ভারী ভারী গাড়ি যাতায়াত করছে এই সেতুর ওপর দিয়ে। তাই সম্প্রতি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এরপরই এই সেতুর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, আগামী ২৩ জানুয়ারী থেকে একটানা ১১দিন এই সেতুকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে এই সেতুর পাশের অপর একটি পুরনো সেতু দিয়ে সাময়িক যাতায়াত করা হবে। বর্ধমান জেলা বাস ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সদস্য শরত কোনার, দক্ষিণ দামোদর বাস এ্যাসোসিয়েশনের সদস্য শান্তনু বসু প্রমুখরা জানিয়েছেন, যেভাবে এই সেতুর ওপর চাপ বাড়ছে তাই এই সেতুকে যথাযথভাবে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়াও তাঁরা এদিন জেলা প্রশাসনের কাছে এই সেতুকে আরও চওড়া করার আবেদন জানিয়েছেন। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে বিকল্প ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ওমর জুবের আলি জানিয়েছেন, বর্তমানে এই সেতুটির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। ভারী গাড়ি গেলেই গোটা সেতুটি কাঁপছে, দুলছে। ফলে যে কোনো মুহূর্তেই বড়সড় বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, যেভাবে বর্ধমান ষ্টেশনের একাংশ আচমকাই ধ্বসে গেছে, তাই জীবনহানী বা ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে অতি দ্রুতই এই সেতুর দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।