ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: লাগাতার ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে যখন ব্যাপক হৈ চৈ চলছে - তারপরেও সম্বিত ফিরছে না কিছু মানুষের। লাগাতার ধর্ষণ কিংবা মহিলাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ চলছেই। শুধু তাইই নয়, থানায় অভিযোগ জানালেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না বলে আদালতে অভিযোগও দায়ের হচ্ছে। শনিবার বর্ধমানের জামালপুর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এক মুদি দোকানদারকে। চকলেটের লোভ দেখিয়ে নিজের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ভিতরে নিয়ে গিয়ে ৯ বছরের এক নাবালিকার ওপর যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগের ভিত্তিতে জামালপুরের চক্ষ্ণণজাদি এলাকার মুদি দোকানের মালিক মিণ্টু দে নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে জামালপুর থানার পুলিশ।
জানা গেছে, ওই নাবালিকা ওই মুদির দোকানে শ্যাম্পু কিনতে গেলে তাকে একা পেয়ে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে মিণ্টু দে-র বিরুদ্ধে। এমনকি এই ঘটনার কথা কাউকে বললে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় মিন্টু দে ওই নাবালিকাকে। পরে মেয়েটির মা বুকে ক্ষত চিহ্ন দেখে জানতে চাইলে মেয়েটি সব বলে দেয়। আর এরপরই মেয়েটির বাবা জামালপুর থানায় মিন্টু দে র বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
অন্যদিকে, রায়না থানার বোলপুরে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। ঘটনার কথা থানায় জানায় ছাত্রীর পরিবার। কিন্তু, থানা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ। এসপিকেও বিষয়টি জানানো হয়। তারপরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে ছাত্রীর মা বর্ধমান সিজেএম আদালতে মামলা করেছেন। কেস রুজু করে তদন্তের জন্য বর্ধমান মহিলা থানার আইসিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু তারপরেও পুলিশ এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতার পরিবার। এখনও অভিযুক্ত ধরা পড়েনি বলে নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ।
নির্যাতিতার আইনজীবী শেখ আব্বাসউদ্দিন জানিয়েছেন, অভিযোগ জানানোর পরও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কিন্তু তারপরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি এখনও।