ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ মুখ্যমন্ত্রীর কাটমানি নিয়ে বক্তব্যের পর থেকে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও রীতিমত শাসকদলের নেতাদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়েছে। জায়গায় জায়গায় চলছে নেতাদের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ, ভাঙচুর,বোমাবাজি, গুলি এমনকি রীতিমত মুচলেকা লিখিয়ে নেবার মত ঘটনাও ঘটে চলেছে। গত কিছুদিন ধরেই যখন রীতিমত এই কাটমানি ইস্যুতে কোণঠাসা শাসকদল, এমনকি বিজেপি সরাসরি কাটমানি ইস্যুতে রাস্তায় নেমে পড়েছে ঠিক তখনই সেই কাটমানি নিয়ে অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধেই। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমান শহর লাগোয়া স্বস্তিপল্লী দক্ষিণপাড়া এলাকায়। পাশাপাশি বৃহস্পসাপাস গলসীতে রীতিমত মাইক নিয়ে বিজেপি কর্মীরা কাটমানির বিষয় নিয়ে মিটিং ডাকার আবেদন জানাতে গেলে উত্তেজনা বাড়ে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তাদের আটক করে গলসী থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
বিজেপি নেতাদের কাটমানি নেবার ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগের পাশাপাশি সরাসরি আদালতে মামলাও ঠুকেছেন অভিযোগকারী মহিলা পার্বতী পাল। তিনি দুর্গাপুরের একটি বেসরকারী নার্সিংহোমের নার্স হিসাবে কর্মরত। তাঁর বাড়ি বর্ধমানের স্বস্তিপল্লী দক্ষিণ পাড়ায়। পার্বতী পাল জানিয়েছেন, বছর খানেক আগে তিনি প্রায় দেড় কাঠা সরকারী জমি পেয়েছেন। ওই জমি পাওয়ার জন্য তাঁকে স্থানীয় তৃণমুল নেতাদের টাকাও দিতে হয়। তার বিনিময়ে তাদের জমির পাট্টাও দেবার কথা ছিল। কিন্তু এখনও তাঁরা সেই পাট্টা পাননি। এরইমাঝে পাট্টা দেবার জন্য প্রায়শই তাঁদের কাছ থেকে অল্পবিস্তর টাকা নিয়ে গেছেন ওই নেতারা। তিনি অভিযোগ করেছেন, সেই তৃণমূল নেতারাই লোকসভা নির্বাচনের পর পোশাক বদলে বর্তমানে বিজেপির নেতা হয়ে ফের বাড়ি তৈরীর জন্য তাঁর কাছ থেকে টাকা দাবী করেছেন। এমনকি টাকা না দিলে তাঁর শিশুপুত্রকে খুন করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
সোমবার ওই নেতারা এসে তার বাড়ির পাঁচিল ভেঙে দেয় বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী কলকাতার সল্টলেকে কর্মরত। তাঁর ছোট শিশুপুত্র তাঁর শাশুড়ির কাছে থাকে। এই ঘটনায় তিনি রীতিমত আতংকে রয়েছেন। পার্বতীদেবী জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি শক্তিগড় থানায় জানালেও কোনো সুফল মেলেনি। এমনকি বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারকেও জানিয়েছেন। কিন্তু তাতেও সুরাহা মেলেনি। বাধ্য হয়েই বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতের সিজেএমে ওই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন।
যদিও এব্যাপারে বিজেপির স্থানীয় মন্ডল সভাপতি সুভাষ দত্ত জানিয়েছেন, যাঁদের নামে অভিযোগ তাঁরা কেউই বিজেপির কর্মকর্তা বা কর্মীও নন। এ ব্যাপারে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তাঁরাও সহযোগিতা করবেন। তিনি জানিয়েছেন,একেবারেই গ্রাম্যবিবাদকে রাজননৈতিক রং দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর সঙ্গে বিজেপি মোটেও জড়িত নয়। এদিকে এদিনই রাতের দিকে অভিযোগকারী মহিলা বিষ খেয়ে স্থানীও একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে বিশেষ সুত্র মারফৎ খবর পাওয়া গেছে। যদিও শক্তিগড় থানার পুলিশ বিষ খাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, পার্বতী পাল সুগারের রুগি, প্রয়োজনের থেকে বেশি ওষুধ খেয়ে নেওয়াতেই এই বিপত্তি।
বিজেপি নেতাদের কাটমানি নেবার ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগের পাশাপাশি সরাসরি আদালতে মামলাও ঠুকেছেন অভিযোগকারী মহিলা পার্বতী পাল। তিনি দুর্গাপুরের একটি বেসরকারী নার্সিংহোমের নার্স হিসাবে কর্মরত। তাঁর বাড়ি বর্ধমানের স্বস্তিপল্লী দক্ষিণ পাড়ায়। পার্বতী পাল জানিয়েছেন, বছর খানেক আগে তিনি প্রায় দেড় কাঠা সরকারী জমি পেয়েছেন। ওই জমি পাওয়ার জন্য তাঁকে স্থানীয় তৃণমুল নেতাদের টাকাও দিতে হয়। তার বিনিময়ে তাদের জমির পাট্টাও দেবার কথা ছিল। কিন্তু এখনও তাঁরা সেই পাট্টা পাননি। এরইমাঝে পাট্টা দেবার জন্য প্রায়শই তাঁদের কাছ থেকে অল্পবিস্তর টাকা নিয়ে গেছেন ওই নেতারা। তিনি অভিযোগ করেছেন, সেই তৃণমূল নেতারাই লোকসভা নির্বাচনের পর পোশাক বদলে বর্তমানে বিজেপির নেতা হয়ে ফের বাড়ি তৈরীর জন্য তাঁর কাছ থেকে টাকা দাবী করেছেন। এমনকি টাকা না দিলে তাঁর শিশুপুত্রকে খুন করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
সোমবার ওই নেতারা এসে তার বাড়ির পাঁচিল ভেঙে দেয় বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী কলকাতার সল্টলেকে কর্মরত। তাঁর ছোট শিশুপুত্র তাঁর শাশুড়ির কাছে থাকে। এই ঘটনায় তিনি রীতিমত আতংকে রয়েছেন। পার্বতীদেবী জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি শক্তিগড় থানায় জানালেও কোনো সুফল মেলেনি। এমনকি বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারকেও জানিয়েছেন। কিন্তু তাতেও সুরাহা মেলেনি। বাধ্য হয়েই বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতের সিজেএমে ওই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন।
যদিও এব্যাপারে বিজেপির স্থানীয় মন্ডল সভাপতি সুভাষ দত্ত জানিয়েছেন, যাঁদের নামে অভিযোগ তাঁরা কেউই বিজেপির কর্মকর্তা বা কর্মীও নন। এ ব্যাপারে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তাঁরাও সহযোগিতা করবেন। তিনি জানিয়েছেন,একেবারেই গ্রাম্যবিবাদকে রাজননৈতিক রং দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর সঙ্গে বিজেপি মোটেও জড়িত নয়। এদিকে এদিনই রাতের দিকে অভিযোগকারী মহিলা বিষ খেয়ে স্থানীও একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে বিশেষ সুত্র মারফৎ খবর পাওয়া গেছে। যদিও শক্তিগড় থানার পুলিশ বিষ খাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, পার্বতী পাল সুগারের রুগি, প্রয়োজনের থেকে বেশি ওষুধ খেয়ে নেওয়াতেই এই বিপত্তি।