ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ সরকারী সহায়ক মূল্যে ধান কেনায় ফড়েদের দৌরাত্ম ঠেকাতে এবার প্রতিটি জনপ্রতিনিধিকে কড়াভাবে সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হল। কোনোভাবেই চাষী যাতে তাঁর ধান ফড়েদের হাতে দিতে না পারে সেজন্য নজরদারী বাড়াতে নির্দেশ দেওয়া হল ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের।
শুক্রবার বর্ধমান জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু জানিয়েছেন, এব্যাপারে প্রতিটি জনপ্রতিনিধিকেই নিজের নিজের এলাকায় মনিটরিং করতে বলা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, একজন প্রকৃত চাষী সর্বাধিক ৪৫ কুইণ্টাল পর্যন্ত ধান একবারে বিক্রি করতে পারবেন বলে বৃহস্পতিবারই নির্দেশিকা জারী করা হয়েছে রাজ্য খাদ্য দপ্তর থেকে। আগে যা ছিল ৯০ কুইণ্টাল। তিনি জানিয়েছেন, গ্রাম এলাকায় কোন ব্যক্তি চাষ করেন তা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরাই ভাল জানেন। তাই ফড়েদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রকৃত চাষী যাতে ধান বিক্রি করতে গিয়ে কোনোরকম হয়রানির শিকার না হন সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
সহকারী সভাধিপতি জানিয়েছেন, প্রকৃত চাষী গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে তাঁর নাম লেখানোর এক ঘণ্টার মধ্যে তাঁর বাড়িতে টোকেন পৌঁছে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বে প্রশাসনিক কর্তারা কিষাণ মাণ্ডিতে ধান কেনার কাজ পরিদর্শন করতে গিয়ে চাষীদের কাছ থেকে বস্তা নিয়ে সমস্যার কথা শুনেছিলেন। চাষীরা অভিযোগ করেছিলেন ধান দেওয়ার জন্য বস্তা তাদের ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। ফলে তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন। বর্তমানে একটি ধানের বস্তার দাম প্রায় ১৫ টাকা। প্রতিবার তাঁদের পক্ষে বস্তা কেনা সম্ভব নয় বলেও জানানো হয়। শুক্রবারই এব্যাপারে সমস্ত রাইস মিলকে চাষীদের বস্তা সরবরাহ করার জন্য নির্দেশ জারী করা হয়েছে।
দেবু টুডু জানিয়েছেন, বস্তা নিয়ে সমস্যা মেটানো হয়েছে। রাইসমিলগুলিকে প্রয়োজনীয় বস্তা সরবরাহের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।তিনি জানিয়েছে্ন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতই ফড়েদের উত্খাত করার কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো রং বিচার করা হবে না। চাষীদের কাছ থেকে কোনোভাবে ফড়েদের হাতে ধান যাতে না যায় তা দেখতে বলা হয়েছে সেক্ষে্ত্রে তিনি কোন্ রাজনৈতিক দলের তা না দেখেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।