Headlines
Loading...
বর্ধমানে স্বর্ণশিল্পীদের সভায় বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর ব্যাপক সংঘর্ষ, আহত প্রায় ২০, তীব্র উত্তেজনা

বর্ধমানে স্বর্ণশিল্পীদের সভায় বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর ব্যাপক সংঘর্ষ, আহত প্রায় ২০, তীব্র উত্তেজনা


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ বর্ধমান শহরের স্বর্ণশিল্পীদের বার্ষিক সাধারণ সভায় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো। এই ঘটনায় উভয়পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর এই ঘটনায় রীতিমত উত্তেজনা ছড়ায় বর্ধমানের বড়বাজার এলাকায়।

বর্ধমান সদর স্বর্ণশিল্পী ওয়েলফেয়ার সমিতির সম্পাদক স্বরূপ কোনার জানিয়েছেন, পূর্ব নির্ধারিত ভাবেই এদিন বর্ধমান শহরের মিঠাপুকুর এলাকায় একটি বিয়েবাড়িতে তাঁদের সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়। সেই সভায় বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির আমন্ত্রিত রাজ্য নেতৃত্বরাও হাজির ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, এই সভায় একটি বহুজাতিক সংস্থার অনুষ্ঠান চলার সময় তৃণমূল সমর্থিত স্বর্ণশিল্পীদের অন্য একটি সংগঠনের সদস্যরা সেখানে ঢুকে পড়ে তাণ্ডব চালাতে শুরু করে। যাঁদের নেতৃত্ব দেন জগন্নাথ দে, রাজেন্দ্র নাথ দে,কৃষ্ণচন্দ্র পাল,সুশান্ত দে, প্রশান্ত দে, দীপক মিস্ত্রী, দেবাশিষ মুখারজী,তন্ময় দে, অরিজিত দে,সুজন প্রসাদ রায়,সুবীর সাঁতরা প্রমুখরা। লাঠি,রড প্রভৃতি নিয়ে বেপরোয়াভাবে মারধর করতে থাকে উপস্থিত সমিতির সদস্যদের। এই ঘটনায় কমপক্ষে ১০জন গুরুতর আহত হন। ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করা হয় চেয়ার, টেবিল, মাইকও।


এই ঘটনার পরই ক্ষুব্ধ সমিতির সদস্যরা বর্ধমান থানায় বিক্ষোভ দেখান। দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানান। একইসঙ্গে তাঁরা এদিন হুঁশিয়ারী দিয়ে জানিয়েছেন, নিজেদের কায়েমি স্বার্থ পুনরুদ্ধার করার উদ্দেশ্যেই এদিন হামলা চালিয়েছেন তাঁরা। গত একবছর ধরেই বর্ধমান শহরের স্বর্ণশিল্পীদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে এই গোষ্ঠী। এব্যাপারে জেলা পুলিশ প্রশাসন থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও তাঁরা লিখিতভাবে জানিয়েছেন, কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এদিনও তাঁরা পুলিশকে আগাম জানিয়ে অনুমতি নিয়েই বার্ষিক সভা করছিলেন। স্বরূপবাবু জানিয়েছেন, যদি দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা না করা হয় তাহলে শুধুমাত্র বর্ধমান জেলাই নয় গোটা রাজ্য জুড়েই স্বর্ণশিল্পীরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।


যদিও এই ঘটনার অব্যাহতির পরই পুলিশ উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এদিন স্বর্ণশিল্পী ওয়েলফেয়ার সমিতির সদস্যরা দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানোর সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে কয়েকজনকে আটক করে। পাল্টা জগন্নাথ দে গোষ্ঠীর কয়েকজনকেও পুলিশ আটক করে। ফলে এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে বর্ধমান শহরের মিঠাপুকুর, চাঁদনী চক সহ সোনাপট্টি এলাকায়।

অন্যদিকে, পাল্টা অভিযোগ করেছেন একদিকে বর্ধমান সদর স্বর্ণশিল্পী ওয়েলফেয়ার সমিতির সদস্য আবার পাশাপাশি জগন্নাথ দে গোষ্ঠীরও সদস্য মীর রবিউল হক। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা সভায় বসেছিলেন। কিন্তু একটি কোম্পানীর লাগাতার বিজ্ঞাপন চলতে থাকায় তাঁরা সংগঠনের হিসাব দেওয়ার জন্য দাবী জানান। আর তারপরেই তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। তাঁদের বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বাইরে থেকে বিজেপির লোকদের নিয়ে এসে তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এমনকি আগাম প্রস্তুতি হিসাবে রড, লাঠি মজুদ করে রাখাও ছিল। রবিউল হক জানিয়েছেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারেই তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});