Headlines
Loading...
'ভ্যালেন্টাইন  ডে' - পরস্পরকে পবিত্র ভালবাসায় নতুন করে বেঁধে নেবার দিন

'ভ্যালেন্টাইন ডে' - পরস্পরকে পবিত্র ভালবাসায় নতুন করে বেঁধে নেবার দিন


ফোকাস বেঙ্গল ওয়েব ডেস্কঃ এ পৃথিবীতে ভালোবাসার জন্য নির্দিষ্ট কোনো দিন নেই, কোনো ক্ষণ নেই। প্রতিটি দিনই ভালোবাসার, আপন করে নেওয়ার। তবু পৃথিবীর ইতিহাসে কখনও কখনও এমন এক একটা দিন আসে যা প্রতিটি দিনের মত করে হারিয়ে যায় না। নিজের মত করে চলতে চেয়েই সে আর পাঁচটা দিনের গতানুগতিকতা থেকে আলাদা হয়ে যায়। ভ্যালেন্টাইন ডে সেরকমই একটা দিন।

আসুন জেনে নিই কে এই ভ্যালেন্টাইন। কেনই বা দিনটি স্মরণীয়।

তৃতীয় শতকে রোমে ভ্যালেন্টাইন নামে এক খ্রিস্টান যাজক ছিলেন। সে সময় রোম শাসন করতেন রাজা ক্লডিয়াস-২। রাজার বিশ্বাস ছিল অল্পবয়সী যুবকরা ,যারা সেনাবাহিনীতে আছে তারা বিয়ে করলে আদর্শ সেনা থাকার উপযুক্ত থাকবেনা। তিনি সেইসব সেনাদের বিয়েতে অসম্মতি জানালেন। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে গোপনে ঐসব যুবকদের বিয়ে দিতে লাগলেন। রাজা ক্লডিয়াস এটা জানার পরই ভ্যালেন্টাইনকে গ্রেপ্তার করে কারারুদ্ধ করলেন। পরে তাঁর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। যেসব যুবক-যুবতীদের বিয়ে দিয়েছিলেন ভ্যালেন্টাইন, তারা কারাগারে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসত, সঙ্গে নিয়ে আসত কার্ড, ফুল, চকোলেট আর উপহারও। অন্যদের চেয়ে আলাদা চলতে চাওয়া সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদিনটাই পৃথিবীর ইতিহাসে অমর হয়ে গেল। শতকের পর শতক পার হয়ে গেলেও ভ্যালেন্টাইন ডে আজও মানুষের কাছে প্রেমের জন্য নিবেদিত একটা দিন হয়ে বেঁচে আছে।

জেনে নেওয়া দরকার 'ভ্যালেন্টাইন উইক' কি?
১৪ ফেব্রুয়ারী ভ্যালেন্টাইন ডে। তবে ভালবাসার এই দিনটিতে পৌঁছাতে গেলেও পার করতে হয় আরো কতকগুলো দিন।

৭ ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হয় এই ব্রত। এই দিনটিকে বলা হয় 'রোজ ডে'। অর্থাৎ কাউকে পছন্দ হলে এদিন তাকে গোলাপ উপহার দেওয়ার দিন।

পরের দিন অর্থাৎ ৮ ফেব্রুয়ারী প্রেম নিবেদনের পালা অর্থাৎ 'প্রোপোজ ডে'। একটা অসাধারন উপহার দিয়ে প্রেমিক অথবা প্রেমিকা একে অপরকে সারপ্রাইজড করে তারপর তাকে মনের কথা খুলে বলার দিন। 
 'প্রোপোজ ডে'-র পরের দিন ৯ ফেব্রুয়ারী 'চকোলেট ডে'।

দিনটিতে ভালবাসার মানুষটির হাতে তুলে দেওয়া হয় নিজের সবচেয়ে পছন্দের চকোলেট। মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য চকোলেটের চেয়ে উপযুক্ত আর কিছুই হতে পারে না। একটা মিষ্টি সম্পর্কের শুরু মিষ্টি চকোলেট দিয়ে। 

পরের দিন অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারী 'টেডি ডে'। দিনটি প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে খুবই স্পেশাল। বিশেষ করে মেয়েরা তাদের প্রেমিকের কাছে ভালবাসার উপহার হিসাবে একটা টেডি প্রত্যাশা করে থাকে। তা পেয়ে গেলে প্রেমের পথ আরও মসৃণ হয়ে যায়।
ভালবাসার সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে পরের দিনগুলোর গুরুত্ব একটু বেশি।

১১ ফেব্রুয়ারী পালন করা হয় 'প্রমিস ডে'। এদিন ভালবাসার পাত্র-পাত্রী নিজেদেরকে একে অপরের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পারে কিনা তা প্রত্যক্ষ করার দিন। সারা জীবন একসাথে থাকার প্ৰতিশ্ৰুতি দেওয়া হয় দিনটিতে।

১২ ফেব্রুয়ারী 'হাগ ডে' অর্থাৎ আলিঙ্গনের দিন। মনের মানুষকে ভরসা করে তার সঙ্গলাভে আনন্দ পেতে একটু বেশিই কাছে যাওয়া-আলিঙ্গনে সম্মতি দেওয়া। দিনটার জন্য কতই না অপেক্ষা করে থাকে ওরা। 
পরের দিন ১৩ ফেব্রুয়ারী পরস্পরকে চুম্বনের অনুমতি দেয় প্রেমিক-প্রেমিকা। এটি 'কিসিং ডে'।

দিনটি অত্যন্ত স্পেশাল দুজনের কাছেই । কারণ এই দিনেই তো আবেগের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে।

ত্যাগের সাতটা দিন পার করে এসে ১৪ ফেব্রুয়ারী সম্পূর্ণ আপন করে পাওয়ার দিন-'ভ্যালেন্টাইন  ডে'। এই দিনটি অবশ্য শুধুই নতুন প্রেমিক যুগলের কাছেই নয় , সমস্ত মানুষের কাছেই তার প্রিয়জনকে কাছে পাওয়ার দিন। পরস্পরকে পবিত্র ভালবাসায় আবার নতুন করে বেঁধে নেবার দিন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});