ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: আগামী ৩ ফেব্রুয়ারী বর্ধমানে আসছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তার আগেই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এফসিআই ও রাইসমিলারদের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনার মাধমে কাটল এফসিআইকে চাল দেওয়া নিয়ে জটিলতা।
বুধবার বর্ধমান জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, সম্প্রতি এফসিআই আলমগঞ্জ গোডাউনে অত্যাধিক মজুরীর জন্য রাইসমিলাররা চাল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বুধবার সংশ্লিষ্ট সমস্ত দপ্তরের পাশাপাশি রাইস মিলারদের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনার পর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনে প্রশাসনিক সমস্ত রকম সহযোগিতার মধ্যে এফসিআইকে চাল কিনতে হবে।
বর্ধমান জেলা রাইস মিল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, এফসিআই-এর আলমগঞ্জ গোডাউনে ২৭০ কুইণ্টাল চাল লরী বা গাড়ি থেকে গোডাউনে ঢোকানোর জন্য ৮৪০০ টাকা করে মজুরী চাইছিলেন এফসিআই-এর স্থায়ী বেতনভুক মজুররা। তিনি জানান, তাঁরা বারবার আবেদন রেখেছেন রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট হারেই মজুরী নেবার জন্য। কিন্তু তারা অনড় থাকায় বাধ্য হয়েই রাইসমিলাররা গত ৫দিন ধরে চাল দিতে রাজী হচ্ছিলেন না।
জানা গেছে, যেখানে পূর্ব বর্ধমান জেলায় গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে এবছরের ৩০ সেপ্টম্বর পর্যন্ত ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার মেট্রিক টন, সেখানে এখনও পর্যন্ত সরকারী সহায়ক মূল্যে ধান কেনা গেছে ১ লক্ষ ১১ হাজার মেট্রিক টন।
উল্লেখ্য, চলতি সময়ে এফসিআই-এর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৯ হাজার মেট্রিক টন চাল। এখনও পর্যন্ত তারা সংগ্রহ করেছে ৯ হাজার মেট্রিক টন চাল। বাকি চাল দ্রুত সংগ্রহ করার নির্দেশ দিলেও মজুরী বৃদ্ধিজনিত কারণে রাইসমিলারদের অনীহায় তা এতদিন সম্ভব হচ্ছিল না। বুধবার সংশ্লিষ্ট সমস্ত দপ্তরের পাশাপাশি রাইস মিলারদের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনার পর এই সমস্যার জট কাটলো বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি বুধবার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আলমগঞ্জ গোডাউনের
পরিবর্তে সমস্ত রাইসমিলারদের গলসীর সারুলের গোডাউনে চাল দেবার জন্য।