Headlines
Loading...
বিদ্যুত দপ্তরের প্রায় ৩৬ হাজার অসংগঠিত কর্মী কি বিজেপির শিবিরে নাম লেখাতে চলেছে?

বিদ্যুত দপ্তরের প্রায় ৩৬ হাজার অসংগঠিত কর্মী কি বিজেপির শিবিরে নাম লেখাতে চলেছে?

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ

এবার কি রাজ্য বিদ্যুত দপ্তরের প্রায় ৩৬ হাজারেরও বেশি অসংগঠিত কর্মী বিজেপির ছাতার তলায় আসতে চলেছে? জানা গেছে,বর্ধমান বিদ্যুত দপ্তরের ইনটাকের ছত্রছায়ায় থাকা বেশির ভাগ অসংগঠিত কর্মী ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের দুর্দশার কথা জানিয়েছেন। সেক্ষেত্রে জুন মাসের শেষ সপ্তাহে কিংবা জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেই তাঁরা সদলবলে বিজেপির ছাতার তলায় যোগ দিতে পারেন। 

এব্যাপারে বর্ধমান বিদ্যুত দপ্তরের ট্রেড ইউনিয়ন নেতা সন্দীপ ব্যানার্জ্জী জানিয়েছেন, এই অসংগঠিত কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন,কম্পিউটার ফিল্ড অপারেটর বা সিএফও, মোবাইল ভ্যান স্টাফ, সিকিউরিটি এবং পিটিএস কর্মীরা। তিনি জানিয়েছেন, দিনের পর দিন তাঁরা শুধু বঞ্চিতই নন, তাঁরা কার্যত প্রতারণার শিকার হয়ে পড়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিদ্যুত দপ্তরের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্ম তাঁদেরই করতে হয়। কিন্তু তাঁদের ন্যূনতম প্রাপ্য তাঁরা পাননা। এমনকি বিগত দিনে এই কর্মীদের অনেককেই অনৈতিক ভাবে নিজেদের ইচ্ছা মতো যেখানে সেখানে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। নানান কারনে অনেকে অসুবিধার মধ্যে পড়ে কাজও ছেড়ে দিয়েছেন। 

সন্দীপ বাবু অভিযোগ করেছেন, ভেণ্ডার তথা তাঁদের নিয়োগকারী কোম্পানী কর্মী পিছু যে টাকা দেয়, বিদ্যুত দপ্তর থেকে সেই কোম্পানি যে টাকা পান তাঁর প্রায় অর্ধেক। তিনি জানিয়েছেন, এব্যাপারে তাঁরা বারবার দফায় দফায় ইনটাক নেতৃত্বের কাছে গেছেন। আন্দোলনের কথা বলেছেন। এমনকি তাঁরা মাত্র কয়েকজন মিলে এব্যাপারে আদালতে মামলাও করেছেন। কিন্তু অত্যন্ত হতাশ হবার মতই ইনটাক তাঁদের পাশে দাঁড়ায়নি। এমনকি ওই মামলা চালানোর খরচও তাঁরা আর জোগাতে পারছেন না দীর্ঘদিন যাবত। ফলে আদালতে মামলা ঝুলছে। এমতবস্থায় বাধ্য হয়েই তাঁরা বিজেপির মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সেক্ষেত্রে সবকিছু ঠিক থাকলে গোটা রাজ্যের প্রায় ৩৬হাজারেরও বেশি বিদ্যুত দপ্তরের কর্মী গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন খুব শীঘ্রই। 


যদিও এব‌্যাপারে বিজেপির উর্ধতন নেতৃত্বের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মুকুল রায়ের ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই বিদ্যুত দপ্তরের এই কর্মীদের সঙ্গে তিনি আলোচনায় রাজী হয়েছেন। সেক্ষেত্রে জুন মাসের শেষ সপ্তাহেই তিনি আলোচনায় বসতে পারেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});