Headlines
Loading...
পরীক্ষার ৮ মাস পর ফলাফলে অকৃতকার্য,আত্মঘাতী তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী, তীব্র চাঞ্চল্য রসুলপুরে

পরীক্ষার ৮ মাস পর ফলাফলে অকৃতকার্য,আত্মঘাতী তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী, তীব্র চাঞ্চল্য রসুলপুরে


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর আত্মঘাতি হবার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো মেমারী থানার রসুলপুর এলাকায়। আত্মঘাতি ছাত্রীর নাম টুকটুকি মালো (২০)। বাড়ি রসুলপুরের ভুবনমোহিনী উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায়। এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী তুলেছেন। 

উল্লেখ্য, ৮ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও প্রথম বর্ষের রিভিউ এর রেজাল্ট প্রকাশ করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর এরই মধ্যে তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সোমবার রাত্রে হটাৎই ইন্টারনেটে প্রথম বর্ষের রিভিউ রেজাল্ট প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়। ওই ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, টুকটুকি সেই রেজাল্ট দেখে রাত্রেই। আর তখনই জানতে পারে সে দ্বিতীয় বারেও আবার পরীক্ষায় ব্যাক পেয়েছে। এমনকি প্রথম বারের পরীক্ষার রেজাল্টের হুবহু এবারে ফলাফল এসেছে। আর এর পরেই বাবা মায়ের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখে নিজের ঘরে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে। সকালে বাড়ির লোক টুকটুকি কে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি মেমারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বর্ধমান পাঠিয়ে দেয়। 

আর এই ঘটনায় তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ওই ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রীতিমত অভাবের সংসারে বড় মেয়ে টুকটুকিকে উচ্চশিক্ষা দিচ্ছিলেন তাঁর বাবা মা। টুকটুকির বাবা দিলীপ মালো স্থানীয় একটি হোটেলের কর্মী। মা অন্যের বাড়িতে রান্নার কাজ করেন। টুকটুকির একটি ভাই রয়েছে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবার দাবী করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন না করার জন্যই হতাশা থেকে আত্মঘাতি হয়েছেন টুকটুকি। মৃত ছাত্রীর বাবা দিলিপ মালো জানিয়েছেন, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এর বিহিত হওয়া দরকার। 

এদিকে ছাত্রি মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে এস এফ আই এর পূর্ব বর্ধমান জেলার যুগ্ম সম্পাদক সন্দীপ সাঁতরা। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্ত দাবি করবে এস এফ আই।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});